নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটে যুবলীগ ও শ্রমিকদের সংঘর্ষের জেরে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক।
সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। চলছে না স্বল্পপাল্লার যানবাহনও। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সিএনজি অটোরিকশা ও হালকা যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
পরিবহন শ্রমিকরা কদমতলী বাস টার্মিনাল, টুকের বাজার, টিলাগড়, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল ও তেতলী এলাকায় পিকেটিং করছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল না করায় ট্রেনের ওপর চাপ পড়েছে। যাত্রীরা রেলস্টেশনে গিয়ে ভিড় করলেও টিকেট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরছেন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক ঢাকাটাইমসকে জানান, বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ট্রেনে যাবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকেট না থাকায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
খুলনা থেকে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে আসা রশিদ আহমদ জানান, হঠাৎ ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না। কখন যেতে পারবো তাও কেউ বলতে পারছি না। তিনি জানান, আগে ধর্মঘটের কথা জানতেন না। বাস টার্মিনালে গিয়ে শুনতে পান পরিবহন ধর্মঘটের কথা।
পরিবহন শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিক জানান, সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার দুপুরে যুবলীগের কিছু কর্মী অতর্কিত পরিবহন শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে ধর্মঘট চলছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার কথা জানান ফলিক।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, দুপুরে পরিবহণ শ্রমিক ও মালিক নেতাদের সাথে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ