নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরে ২৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহতের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডেও নানা সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত ক্লাস নিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই এসব স্কুলের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণ করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী বিনয় সরকার জানান, জেলার ৬ উপজেলায় ৬৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তারমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৪৯ জন, গোসাইরহাট উপজেলায় ৩১ জন, নড়িয়া উপজেলায় ৪১ জন, সদর উপজেলায় ৪৮ জন, ডামুড্যা উপজেলায় ২৭ জন ও জাজিরা উপজেলায় ৫৩ জনসহ ২৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি ৩৫ ভাগ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। আর ৬৫ ভাগ নিয়োগের ক্ষেত্রে পদোন্নতির কার্যক্রমে জটিলতা ও অবসরজনিত কারণে পদগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে।
শরীয়তপুর পৌরসভায় অবস্থিত ৮৬নং দক্ষিণ মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সামসুন্নাহার বলেন, ৫ বছর যাবত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক না থাকায় কর্মরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণ করলে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার মানও বাড়বে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলার ২৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তাছাড়া ৩৮৭ জন সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য আছে। শিক্ষক সমস্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খুব শিগগিরই প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো পূরণ করবে। আর কিছু শিক্ষককেও পদোন্নতি দেবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ