২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৫৫

আইনমন্ত্রী ‘অর্বাচীন’: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ‘অর্বাচীন’ আখ্যা দিয়ে তার উদ্দেশে বলেছেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গোটা জাতির সঙ্গে ব্রেকমেইল করেছেন। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। ‘গণতন্ত্র কোন পথে? ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জাতীয় ঐক্য পরিষদ নামের বিএনপিপন্থী একটি সংগঠন।

আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আপনি নিজেই তো অর্বাচীনের দলে। আপনি  জালিয়াতি করে জাল স্বাক্ষর করে, প্রধান বিচারপতিকে বিদেশ যেতে বাধ্য করেছেন। আবার এখন বলছেন আপনি সত্যবাদী। জনগণের অন্তরে আপনি যে মিথ্যাবাদী, তা বুঝতে পারছেন না?’ সরকারের গণতান্ত্রিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল যে প্রতিষ্ঠান, সেই সর্বোচ্চ আদালতে সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে। আইনমন্ত্রী গোটা জাতির সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তারপরও বলতে হবে যে তারা গণতান্ত্রিক।’

রাজপথ থেকে গণতন্ত্র এখন গলিপথ দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ধাবিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন সচিবালয়ের পথে, বেইলি রোডের পথে, পঁচাত্তরের বাকশালের পথে। বিএনপি সভা-সমাবেশ মিছিল করতে পারবে না, তারপরও আওয়ামী লীগকে গণতান্ত্রিক বলতে হবে। এর ব্যত্যয় হলেই খুন গুম অত্যাচারের শিকার হতে হবে। রিজভী বলেন, ‘দেশের কোথাও কোনো স্বস্তি নেই। আওয়ামী লীগ যা বলবে সেটাই সত্য- এটা না মানলে আপনি খুন হবেন, আপনি গুম হবেন, আপনাকে আর পাওয়া যাবে না। আপনার মায়ের কোল খালি হবে। এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। না হলে ভয়ংকর নৈরাজ্যের অমানিশায় পতিত হবে জাতি।’

দেশে এখন অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।  তার ভাষ্য, ‘বিরোধী দলের কথা বলার এখন আর কোনো জায়গা নেই। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। জনগণের শক্তি যাতে রাজপথে না আসতে পারে তার জন্য সরকারের  এত বাধা।’ এর থেকে পরিত্রাণের জন্য বিএনপিকে সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন জায়গায় জায়গায় রাখা আছে। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ এখন আর  চর্চা করে না। দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের শাসন নেই।’ আলাল বলেন,  ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বস্ত্র হরণ করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের শেষ আশ্রয় ছিল, সেখানেও নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে সরকার।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সালাহ উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের রহমতুল্লাহ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :অক্টোবর ১৭, ২০১৭ ৫:১৮ অপরাহ্ণ