২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৯

বিমানবন্দরে শোডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রায় তিন মাস যুক্তরাজ্যে অবস্থান শেষে বুধবার দেশে ফিরলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। যত সম্ভব নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছে তারা। আগামী বুধবার কর্মদিবসে ফিরছেন খালেদা জিয়া। তাকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

দলীয় প্রধানকে বরণ করতে বিএনপির পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মূল দলের পাশাপাশি এসব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বুধবার বিমানবন্দর এলাকায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা আছে। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তবে নেতা-কর্মীদের বিকাল তিনটা থেকেই জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে রওয়ানা হওয়ার রাতে বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে বিমানবন্দর সড়ক ও আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছিল। এবার এর চেয়ে বেশি সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি থাকলে যানজট পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটি বিবেচনায় না রেখেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা চেয়ারপারসনকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রস্তুত।’ বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা ছাড়াও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।

বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২-এ খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে উপস্থিত থাকবে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার অভ্যর্থনা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার তৈরি করছে বিএনপি ও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। এসব ব্যানার, ফেস্টুনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবিসহ খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানানো হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, ‘নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সব থেকে বেশি থাকবে।’ সংগঠনের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছি। সব বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মী বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হয়ে চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করি।’

যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু বলেন, ‘চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে যুবদলের প্রস্তুতি নিয়ে এককথায় বলতে পারেন বড় ধরনের শোডাউন হবে। সব ইউনিটকে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারি বলেন, ‘ছাত্রদলের সব ইউনিটকে ওইদিন সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গোটা বিমানবন্দর এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।’

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ১৭, ২০১৭ ২:৫৪ অপরাহ্ণ