নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিযোগিতামূলক সব ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে অহরহ। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বা কর্মজীবন শুরু করছেন অনেকেই। অন্যদিকে সর্বনাশ ঘটেছে প্রকৃত মেধাবীদের। চলতি বছর এসএসসি, এইচএসসি, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, নার্স নিয়োগসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। সামনে দেশব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ভর্তি পরীক্ষায় বঞ্চিত হবে মেধাবীরা।
প্রথম টার্গেট পরীক্ষার্থী সংগ্রহ :
জালিয়াত চক্র কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা শুরুর অন্তত ছয় মাস আগে থেকেই যারা জালিয়াতির মাধ্যমে পাস করতে চান তাদের খোঁজ শুরু করেন। প্রক্রিয়াটি সাধারণত দুইভাবে হয়ে থাকে। প্রথমত পরীক্ষার্থী নিজেই খুঁজে বের করেন কারা জালিয়াতি করে । দ্বিতীয়ত জালিয়াত চক্র খুঁজে বের করে কে কে জালিয়াতির মাধ্যমে পাস করতে চায়।
জালিয়াত চক্রের সদস্য আজহার (ছদ্মনামা) বলেন, অনেক সময় পরীক্ষার্থীরাই আমাদের খুঁজে বের করেন। সাধারণত পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বা ইতোমধ্যে যারা আমাদের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন তারাই আমাদের খোঁজ দেন। একইভাবে আমরাও পরিচিত ও বিশ্বস্তজনদের মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাবগুলো টার্গেট করা পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠাই। এভাবেই পরীক্ষার আগে নির্ধারণ হয় কারা কারা জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস:
সম্ভাব্য প্রার্থী ও দরদাম ঠিক হওয়ার পর জালিয়াতদের সামনে বড় কাজ থাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজটা সম্পন্ন করা বা তাদের ম্যানেজ করার কাজটা বেশ কঠিন হলেও তারা নিয়মিতই সেটা করেন। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয় সেসব প্রতিষ্ঠানকে তারা টার্গেট করেন। পরীক্ষা শুরুর তিন-চার মাস আগেই সেসব প্রতিষ্ঠানে জালিয়াত চক্রের প্রতিনিধিদের সক্রিয় করা হয়। টার্গেট করা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের সঙ্গে পূর্ব থেকে সখ্য থাকলে সেটা নতুন করে ঝালাই করে নেয়া হয়। আর যদি না থাকে তাহলে খুঁজে খুঁজে অন্তত তিন থেকে পাঁচজন কর্মচারীকে দলে ভেড়ানো হয়, যারা ইতিমধ্যে জালিয়াতির কাজে কোনো না কোনো চক্রকে সহায়তা করেছেন বা সহায়তা করতে চান। এদের মধ্য থেকে বিশ্বস্ততার বিষয়টি মাথায় রেখে এক অথবা দুই জনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়, যারা দক্ষতার সঙ্গে জালিয়াতিতে সহায়তা করবেন। অর্থাৎ তাদের মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে। একই সঙ্গে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের সিটপ্ল্যান পরিবর্তন করে সুবিধামতো স্থানে বসান হবে। সিটপ্ল্যান পরিবর্তনের কাজ করে প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা, যারা আগের দিন সিটপ্ল্যান বসানোর কাজে জড়িত থাকেন।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, সিট পরিবর্তন করে বসার সুবিধা হল- পরীক্ষা হলে যিনি গার্ডের দায়িত্বে থাকবেন তার চোখ যেন সহজেই এড়ানো যায়। গার্ডের দৃষ্টি এড়ানো সম্ভব হলে সিটে বসে উন্নত প্রযুক্তির ডিভাইস ব্যবহার করা অনেকটা সহজ হয়। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে যেসব প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় সেগুলো সাধারণত কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র আসা ও পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করার মাঝখানের সময়ে করা হয়। কেন্দ্রের ভেতর সিলগালা করা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট সাধারণত বহন করেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা। তারাই সিলগালা প্যাকেট খুলে কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত জালিয়াত চক্রের সদস্যের হাতে তুলে দেয়।
প্রশ্নপত্রের সমাধান হয় যেভাবে :
বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা জানান, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র হাতে আসার পর প্রথমেই করা হয় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি অথবা মোবাইলে ছবি তুলে নেয়া হয়। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই প্রশ্নপত্র পৌঁছানো হয় সলভারদের (সমাধানকারী) কাছে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। এরপরই প্রস্তুতকৃত সমাধান পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই নির্ভরযোগ্য ফটোকপি বা স্ক্যানের দোকান ঠিক করা, প্রশ্নপত্র সমাধানের নিরাপদ স্থান খুঁজে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে নির্দিষ্ট কোনো রুমে নিয়ে প্রশ্নপত্র সমাধানসহ সঠিক উত্তরগুলো পড়ানো হয়।
রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্ন সমাধানের জন্য বেশ কিছু এলাকা তারা বেছে নেন। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলের সিনিয়র নেতাদের কক্ষ, নিজস্ব বাসা, কোচিং সেন্টারের কক্ষ, আবাসিক হলগুলোর গেস্টরুম ইত্যাদি। মূলত কোথায় সমাধান করা হবে তা নির্ধারণ করা হয় কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হবে তার ওপর। দুটি স্থান যতটা সম্ভব কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করা হয়।
যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে বসে ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতির কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র সমাধানের বিষয়টি সম্পর্কে সলভারদের একজন বলেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সলভারদের কাছে পৌঁছায় পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে থেকে শুরু করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর (সলভার) যে যে বিষয়ে পারদর্শী তাদের হাতে সেই বিভাগের অংশটুকু তুলে দেয়া হয়। প্রশ্নপত্র সমাধান করতে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে। এরপর সেট অনুযায়ী ‘এসএমএস’র মাধ্যমে উত্তর পাঠানো হয়। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী উন্নত প্রযুক্তির ছোট ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন।
চলে দেনদরবার :
প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রগুলো বেশকিছু পদ্ধতিতে ডিলিংস করে থাকে। প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ ইউনিটের’ প্রশ্নপত্রের জন্য রাজধানীর একাধিক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চক্রের সদস্যরা এ সময় দুটি পদ্ধতির কথা জানান। এক. প্রযুক্তির ব্যবহার করে হলে ব্লু-টুথ ডিভাইস ব্যবহার দুই. পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে সরাসরি প্রশ্নপত্র দেয়া। ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করা হয়। আর সরাসরি প্রশ্নপত্র পেতে পরীক্ষার্থীকে বেশকিছু শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই চক্রটি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে টাকার চুক্তি করে। চলতি বছর প্রশ্নের দর হাঁকা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ। প্রশ্ন কমন পড়লেই ৬/৭ ঘণ্টার মধ্যে টাকা দিতে চাইলে ৩ লাখ আর ফল প্রকাশের পর মেধা তালিকায় নাম দেখার পর টাকার লেনদেন করলে দিতে হবে ৪ লাখ। চুক্তিতে বনিবনা হলে চক্রটি প্রথমেই এসএসসি এবং এইচএসসির মূল সনদ হাতিয়ে নেবে। এরপর পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষার্থীদের তাদের সুবিধামতো জায়গায় নিয়ে নির্ধারিত প্রশ্ন পড়ানো হয়। এরপর পরীক্ষায় শতকরা ৮০ ভাগ প্রশ্ন কমন পড়লেই চুক্তির টাকা দিতে হবে। টাকা আদায়ের সুবিধার্থে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও নিয়ে নেয় চক্রটি। লেনদেন হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ফেরত দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা যে কোনো ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষায় অনেকে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ কান ঢেকে কানের মধ্যে একটি ডিভাইস লাগিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এটি আমাদের পুরো পরীক্ষা পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সন্দেহের তীর যাদের দিকে :
দেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো কোচিং সেন্টার গড়ে উঠছে। পরিচালনার কোনো নিয়মকানুন ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত একশ্রেণীর অর্থলোভী শিক্ষক জড়িত। নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে এরা আরেকটি ‘কোচিং সেন্টার’ খোলেন যার মূল উদ্দেশ্য বাড়তি ইনকাম। অর্থের লোভেই কোচিং সেন্টারগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাসের নিশ্চয়তা দেয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীর এদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে। গত দশ বছরের খতিয়ান খুললেই পরিষ্কার হয়ে যায় কোচিং ব্যবসার যথার্থ রূপ। এই সময়ের মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পরীক্ষা, ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষা, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষাসহ সব ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে অহরহ।
সরকারি তদন্ত টিম সার্বিক অনুসন্ধান শেষে আঙুল তুলেছিল কিছু নামি-বেনামি কোচিং সেন্টারের ওপর। যারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই অসৎ কাজে প্ররোচনা দেয়। শিক্ষার্থীরাও কোচিংয়ে গেলে কম পড়তে হবে এই লোভে কোচিংয়ের প্রতি প্রলুব্ধ হচ্ছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা কিছু পরীক্ষা সেন্টার সিলগালা খুলে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র সরবরাহে লিপ্ত হয়।
ফেসবুক, ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপ :
দেশের স্কুল-কলেজ স্তরের পাবলিক পরীক্ষাগুলোর প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অর্থ লেনদেনের জন্য ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চলতি বছরের শুরুর দিকে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার নিকটবর্তী আশুলিয়ার একটি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় করা এক মামলায় বলা হয়, এই ব্যক্তিরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমোর মতো সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করছিলেন।
চক্রটির প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিভিন্ন কার্যকলাপ প্রসঙ্গে উপ পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, পাবলিক পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের দিন প্রশ্নপত্রগুলো কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সিলগালা অবস্থায় জেলা প্রশাসনের অফিস থেকে বিভিন্ন স্কুল বা কলেজের অধ্যক্ষের হাতে দেয়া হয়। এই সিলগালা খোলেন প্রিন্সিপালই। গ্রেপ্তারকৃত ওই অধ্যক্ষ প্রশ্নপত্রগুলো হাতে পাবার পর সিলগালা ভেঙে তার মোবাইল ফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে নিতেন। এরপর তিনি ছবিগুলো তুলে দিতেন একটি কোচিং সেন্টারের তিন ব্যক্তিকে- যারা নিজেরাও শিক্ষক এবং এই চক্রের সদস্য। সংশ্লিষ্টরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমোতে গ্রুপ তৈরি করে তার সদস্যদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন। পরে শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয় ভেদে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় সরবরাহ করা হয় প্রশ্নপত্র।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর বলেন, সারা দেশে প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় লাখ লাখ শিক্ষক জড়িত থাকেন। সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও কিছু দুষ্ট লোক থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই দু-চারজন লোক আমাদের মুখে কালিমালেপন করছে। তিনি এ ধরনের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং ওই ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ