২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৩৬

কৃষকের ১০ টাকার ব্যাংক হিসাবে ২৬৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় দশ টাকার কৃষকদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৬৪টি। এ সব হিসাবে জমা হয়েছে ২৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক (জুন-১৭) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, গত জুন পর্যন্ত কৃষকদের হিসাবের ২৩ হাজার ৩৭৩টির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে ৫৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পুনঃঅর্থায়ন করা হয়েছে। আর ৪৭ হাজার ২১৭টি হিসাবে প্রবাসীরা ১৫২ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।

কৃষকের হিসাবসহ অন্যান্য বিশেষ হিসাবের সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৪টি। এ সব হিসাবে এক হাজার ১১ কোটি টাকা জমা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হিসাব রয়েছে কৃষকদের। কৃষকদের নামে খোলা ৯১ লাখ ৯০ হাজার অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ২৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় খোলা ৪৪ লাখ ২১ হাজার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে খোলা ২ লাখ ১ হাজার ১১৩ অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ১৬৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তৈরি পোশাক শ্রমিকদের খোলা ২ লাখ ৩০ হাজার ১৪৩ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১০২ কোটি টাকা। এছাড়া দুস্থ, পরিচ্ছন্ন কর্মী, ক্ষুদ্র জীবন বিমার পলিসি গ্রহীতা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ অন্যদের হিসাবে জমা রয়েছে বাকি অর্থ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও আর্থিক সেবা বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কৃষক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতাভোগী, মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র জীবন বিমা পলিসি গ্রহীতা, অতিদরিদ্র উপকারভোগী, অতিদরিদ্র মহিলা উপকারভোগী, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির সুবিধাভোগী, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, চামড়া ও পাদুকা শিল্পজাত কারখানায় কর্মরত শ্রমিক, স্কুলের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী পথশিশু-কিশোর এং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ন্যূনতম ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা জমাকরণের মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকগুলো হিসাব খোলার বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ সব হিসাব থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাংককে কোনো চার্জ বা ফি প্রদান করতে হয় না। ২০১০ সাল থেকে একের পর এক নির্দেশনার মাধ্যমে কৃষকসহ আর্থিক সেবা প্রত্যাশী জনগোষ্ঠীর জন্য এ ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। এ সব হিসাব সচল রাখতে ২০১৫ সালে ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল করা হয়েছে। যেখান থেকে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ১৭, ২০১৭ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ