নিজস্ব প্রতিবেদক :
এসএসসি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পেয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ফল পরিবর্তনে আবেদন করেছে। এই শিক্ষার্থীরা সাড়ে চার লাখ পত্রের নম্বর পরিবর্তন চেয়ে এ আবেদন করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, জিপিএ পদ্ধতি চালুর ১৭ বছর পর এবার প্রথম নম্বর দেখার সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতেই অনেকেই হয়েছেন হতাশ। কারণ অনেক শিক্ষার্থী ৭৮ বা ৭৯ পেয়েছে। এরকম প্রত্যেকটি গ্রেডের আগে এক বা দুই নম্বর কম পেয়েছে তারাই সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে। এর মধ্যে ৩২ নম্বর পেয়েও ফেল করেছে এরকম হাজার হাজার শিক্ষার্থী আছে। এবার আবেদনের সংখ্যা বেশি হওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বেশি কারণ বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তিনটি ক্যাটাগরি এমসিকিউ, প্র্যাকটিক্যাল ও লিখিত নম্বরপত্র আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষক মূল্যায়ণ করার কারণে এমনটা হয়েছে। আবেদনের শীর্ষে থাকা বিষয়ের মধ্যে আছে গণিত, ইংরেজি, বাংলা, পদার্থ ও রসায়ন।আগামী ৩০ মে পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি ও এইচএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষায় আশানুরূ ফল অর্জন করতে না পেরে শিক্ষার্থীরা খাতা ‘চ্যালেঞ্জ’ করে থাকে। প্রাপ্ত নম্বর গণনা, নম্বর প্রদানের ভুলভ্রান্তি, হিসাব-নিকাশসহ চারটি বিষয় দেখা হয় মাত্র। কোনো উত্তরে নম্বর-কমবেশি পেয়ে থাকলে তা ঠিক করা হয় না।
গত ৪ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। সম্মিলিতভাবে এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। সর্বোচ্চ সাফল্য বলে বিবেচিত এ-৫ লাভ করেছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষার্থী।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর