নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির হাওলাদার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত মুজিবর হাওলাদারের ছেলে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় আসামি উপস্থিত ছিলেন বলে এপিপি কামরুল ইসলাম জোয়ার্দার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের জের ধরে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা মুন্সিপাড়া এলাকার বাসায় স্ত্রী রহিমা বেগম (২৪) কে শ্বাসঃরোধে হত্যা করে তার স্বামী মনির হাওলাদার। স্ত্রীকে হত্যার পর ঘরের বাহিওে থেকে তালা বদ্ধ করে চলে যায় মনির। এরপর বিবেকের তারনায় সে ছুটে যায় খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সেখানে গিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিরুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত তার প্রাথমিক বক্তব্য শুনে দৌলতপুর থানা পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার সহ আইনী ব্যবস্থার আদেশ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে গৃহবধূ রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে আদালতকে অবগত করেন।
এঘটনায় সেদিনই নিহতের বাবা মোঃ আব্দুল ওহাব মিয়া বাদি হয়ে দ-বিধির ৩০২ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-১২)। একই দিনে আসামি মনির হাওলার আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই বাবলুর রহমান খান ২০১৬ সালের ১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার এজাহার ও চার্জশিটভুক্ত ১৩জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি সুলতানা রহমান শিল্পী ও এপিপি মোঃ কামরুল হোসেন জোয়ার্দার।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ