নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বর্ণ, ডায়মন্ড আটকের ঘটনায় আপন জুয়েলার্স ও অবৈধ মদ রাখার দায়ে হোটেল দ্য রেইনট্রি এর মালিককে তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আজ সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল রোববার আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সোনা ও হীরা আটক করা হয়। এগুলো ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুত রাখা ছিল। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানার জন্য দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের সব মালিককে তলব করা হয়েছে। এছাড়া হোটেল রেইনট্রিতে ১০ বোতল মদ রাখার দায়ে দুই মালিকদের তলব করা হয়েছে।
আজ সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান জানান, শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানে ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ স্বর্ণ ও ডায়মন্ড আটকের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিকদের তলব করা হয়েছে। একই সময় দ্য হোটেল রেইনট্রি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও (এমডি) মদ রাখার দায়ে সমন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মে বেলা ১১ টায় তাদের শুল্ক গোয়েন্দার কাকরাইলের সদরদপ্তরে কাগজপত্রসহ হাজির হতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার শুল্ক গোয়েন্দার দল আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কোয়ারের শাখায় অভিযান চালায়। অভিযানে ২৮৬ কেজি স্বর্ণ ও ৬১ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে তা সাময়িক আটক করা হয়। এগুলো আইন অনুসারে সিলগালা করে তাদের হেফাজতে দেওয়া হয়। গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে আপন জুয়েলার্সের অন্য আরেকটি শাখা বন্ধ পাওয়ায় সবার উপস্থিতিতে ইনভেন্টরি করার নিমিত্তে সিলগালা করা হয়েছে। তলবে সাময়িকভাবে আটক এই মূল্যবান সামগ্রী সরবরাহের বৈধতা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যদিকে, দ্য রেইনট্রি হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দার দল ১০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে। এই মদ উদ্ধারের সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ বারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। অবৈধভাবে বিদেশি মদ রাখার দায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এমএইচ