নিজস্ব প্রতিবেদক:
তুরস্কের পরিবার ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সায়ান কায়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী। বুধবার তুরস্কের পরিবার ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে দু’দেশের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়সহ বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের উদ্বাস্তু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় রাষ্ট্রদূত, তুরস্কের পরিবার ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর এবং এ বিষয়ে তুরস্ক সরকারের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও এ সংকটের ঐতিহাসিক পটভূমির প্রতি আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভিটেমাটি হারা দুর্দশাগ্রস্ত ও পীড়িত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আশ্রয়দানের জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা একটি অত্যন্ত সাহসী উদ্যোগ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মিয়ানমারের উদ্বাস্তু সংকট সৃষ্টির মূলে রয়েছে মিয়ানমার এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে এ সংকটের সমাধানও নিহিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ এ সমস্যার একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী।
তুরস্কের পরিবার ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রীও একটি রাজনৈতিক সমাধানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তুরস্কের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রতি পুর্নব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, রাষ্ট্রদূত এবং তুরস্কের পরিবার ও সমাজবিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা একমত হন যে, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন জোরালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি