নিজস্ব প্রতিবেদক:
চতুর্থবারেরমত মুক্তামনির হাতে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১২ আগস্ট প্রথম দফায় মুক্তামনির ডান হাত অক্ষত রেখেই দুই ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ওই মাসের ২৯ আগস্ট ফের মুক্তামনির অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তামনির ডান হাতে ফের অস্ত্রোপচার করা হয়। সে সময় ২০ শতাংশের মতো শেষ হওয়ার পর জ্বর আসায় অস্ত্রোপচার মুলতবি রাখা হয়।
চতুর্থবার অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ও মুক্তামনির চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ওটিতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অস্ত্রোপচারের জন্য চার ব্যাগ রক্ত আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ছিল। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী গতকাল রাত থেকে মুক্তামনিকে প্রস্তুত রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে মুক্তামনির ডান হাতে প্রথমে টিউমারের মতো হয়। পরে তার হাতটি ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়! একপর্যায়ে তার হাতে পচন ধরে।
শরীরের অসহ্য ব্যথা ও যন্ত্রণায় মুক্তামনি বসতেও পারত না। হাতের সঙ্গে বুকের একাংশেও ছড়িয়ে পড়ে রোগটি। দীর্ঘ ৯ বছরেও মুক্তার রোগ ধরতে পারেননি চিকিৎসকরা।
এরপর সংবাদমাধ্যমে তার কথা উঠে আসলে গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। পরবর্তীতে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

