আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ১৪তম ভারত-ইইউ সামিট শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
যৌথ ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জিন ক্লাউড জাঙ্কার।
রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতায় দেশটি থেকে বিশাল সংখ্যক মানুষের পালিয়ে যাওয়ার সাম্প্রতিক ঘটনায় ভারত ও ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পালিয়ে যাওয়া এসব মানুষের বেশির ভাগ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষ মনে করি যে, এই সহিংসতা শুরু হয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কয়েকটি হামলার পর। এই হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যসহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।’
ভারত-ইইউ যৌথ ঘোষণায় আরও বলা হয়, ‘উভয় পক্ষ মনে করে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে অবিলম্বে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা উচিত। ’
তবে বিবৃতিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি।
ঘোষণায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
ভারত ও ইইউ এই সংকটে মানুষকে প্রয়োজনীয় মানবিক সহযোগিতা প্রদান করায় বাংলাদেশের ভূমিকাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে যৌথ ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২৫ আগস্টের পর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি। গণধর্ষণ ও গণহত্যার শিকার হয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমার এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

