২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:২৬

পৌর-ইউপি’র জট খুলতে ইসির তিন সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মামলা ও বিভিন্ন জটিলতায় বছরের পর বছর ঝুলে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও পৌরসভায় নির্বাচনের বাঁধা দূর করতে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সভায় অ্যাটর্নি জেনালের অফিসের প্রতিনিধি হিসেবে একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব ও একজন উপ-সচিব এবং ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের কাছে যে তালিকা আছে তাতে ১৭৫টি ইউপি ও ৩৫টি পৌরসভার নির্বাচন পেন্ডিং রয়েছে। এসব ইউপি ও পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে সমন্বয় সভা করেছি। ওই সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ৩০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হবে। মামলা জনিত সমস্যা নিরসনে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে অনুরোধ জানাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ওয়ার্ডগুলোর ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ তালিকা তৈরি হবে। এরপর ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনে তোলা হবে। কতদিনের মধ্যে ওইসব ওয়ার্ডে ভোট হতে পারে তা জানাননি তিনি।

ইসি সূত্র জানায়, ৪০ ইউপিতে ১৪ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। এসব ইউপিতে সর্বশেষ ২০০৩ সালে নির্বাচন হয়। ইউপিগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়ের বলরামপুর, দিনাজপুরের বিরল, গাইবান্ধার কিশোরগাড়ী ও পলাশবাড়ী, রাজশাহীর বাজুবাঘা, গড়গড়ী, মনিগ্রাম, পাকুড়িয়া, বানেশ্বর, ভালকগাছী ও শিলমাড়িয়া, কুষ্টিয়ার জিয়ারখী, চুয়াডাংগার উথলি, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার বড়মলংচড়া, সোনাপুর, টাঙ্গাইলের বাসাইল, বাংড়া, ঢাকার দোহারের রাইপাড়া ও সুতারপাড়া, নরসিংদীর চক্রধা ও মাছিমপুর, শরীয়তপুরের ইদিলপুর, সুনামগঞ্জের মীরপুর, সিলেটের মোল্লারগাঁও ও তেতলী, ফেঞ্চগঞ্জ, মাইজগাঁও, ঘিলাছড়া ও দশঘর, চাঁদপুরের নারায়ণপুর, নোয়াখালীর সুখচর ও নলচিয়া, চট্টগ্রামের ১নং কধুরখীল, ২নং পশ্চিম গোমদন্ডী, ১নং করেরহাট, হোছনাবাদ, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, কালাপানিয়া ও উড়িরচর।

এখনো নির্বাচন হয়নি নবগঠিত ৬ ইউপিতে। ইউপিগুলো হল- দিনাজপুরের রাজারামপুর, চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা, নেহালপুর, কেডিকো ও মনোহরপুর এবং ভোলার ওমরপুর।

সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে জটিলতা, উচ্চ আদালতে মামলা চলমানসহ নানা কারণে ৩৫টি পৌরসভায় বছরের পর বছর নির্বাচন হচ্ছে না। এর মধ্যে কয়েকটি নবগঠিত পৌরসভাও রয়েছে। পৌরসভাগুলো হল- ঢাকার দোহার, নীলফামারী, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, নাটোরের বাগাতিপাড়া, রাজশাহীর বাঘা, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, যশোরের বেনাপোল ও ঝিকরগাছা, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার লালমোহন, নরসিংদীর শিবপুর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চাঁদপুরের নারায়নপুর, বরগুনার আমতলী, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, নওগাঁর ধামইরহাট, বাগেরহাটের মংলা, পটুয়াখালীর বাউফল, পঞ্চগড়েরর বোদা ও দেবীগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ ও বিরল, নাটোরের বনপাড়া, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও নাজিরহাট এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :অক্টোবর ৪, ২০১৭ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ