আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মতাদর্শিক সংঘাত ও গৃহযুদ্ধে এক দশক ধরে পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকার পর ফিলিস্তিনের গাজার শাসকদল হামাসের সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু করতে উপত্যকাটিতে গিয়েছেন পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রধানমন্ত্রী রামি আল-হামদাল্লাহ।
স্থানীয় সময় সোমবার ঐতিহাসিক সফরে গাজায় যান পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর সমর্থনপুষ্ট দল ফাতাহর নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
গাজায় এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে রামি হামদাল্লাহ বলেন, জাতীয় ঐক্যের সরকার গাজার প্রশাসনিক বিষয়গুলো দেখভাল করবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সীমান্ত পারাপারের বিষয়গুলোরও দায়িত্ব নেবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পশ্চিমা বহু দেশ ও ইসরায়েলের বিবেচনায় সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস গত মাসে গাজায় ছায়াসরকার বিলুপ্ত করে জাতীয় ঐক্যের নাটকীয় উদ্যোগ নেয়। গাজা উপত্যকায় নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন কাজে মূল দাতা দেশ কাতারের সঙ্গে আরব মিত্র দেশ সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইন কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর হামাস এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্প্রতি হওয়া হামাস ও ফাতাহর সমঝোতা অনুযায়ী, গাজার পুলিশ বাহিনীতে ধীরে ধীরে যুক্ত হবে ফাতাহর অনুগত তিন হাজারের মতো সদস্য। পুরো বিষয়টির তদারক করবেন হামদাল্লাহ।
নিরাপত্তা বাহিনীতে নতুন নিয়োগের পরও হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জ আদ-দিন আল-কাসাম ব্রিগেড আগের মতোই কার্যক্রম চালাবে। এই ব্রিগেডে কমপক্ষে ২৫ হাজার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা আছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ