নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রহিম (৫৭) ও জোবেদা খাতুন (৪৬) নামে এক দম্পতিকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব- ১৪)। তারা নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। এসময় তাদের কাছ থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকেলে র্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ জানায়, গোপনসূত্রে র্যাব সংবাদ পায়, জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিং সংলগ্ন বাজারে কতিপয় সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা নারী ও শিশুদের পাচার করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে একটি দল ওই স্থানে পৌঁছে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই দম্পত্তি নারী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় পাচারের উদ্দেশ্যে আনা শাহেদা আক্তার ওরফে শিরিন (১৭) এবং হোসনে আরা বেগমকে (১৯) নামে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, আটককৃত আসামিরা উদ্ধারকৃত ওই দুই তরুণীকে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন থেকে বিয়ে ও কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নানা কৌশলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ জেলার শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিং সংলগ্ন বাজারে এনে দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে খরিদ্দারের অপেক্ষায় সেখানে অপেক্ষা করছিলো।
পাচারচক্রটি দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসহায় নারী ও শিশুদেরকে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বাইরে এবং দেশের অভ্যন্তরে পতিতালয়সহ অসৎ ব্যক্তিদের নিকট টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে থাকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১৪’র অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ