আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই একটি খসড়া আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাদশাহ তার নির্দেশনায় বলেন, নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিপদজনক পরিস্থিতি একক, পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনা ছাড়াও ইসলামের মূলনীতি ও সৌদি রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এ ধরনের যৌন নিপীড়ন যে সাংঘর্ষিক তা লক্ষ্য রেখেই এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইনের খসড়া প্রস্তুত করতে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। সৌদি আরবে ১৮ থেকে ৪৮ বছরের নারীদের মধ্যে ৮০ ভাগ স্বীকার করেন যে তাদের বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায় এ ধরনের অপরাধ ১২ ভাগ হারে বাড়ছে। এ সমীক্ষা করতে কানাডার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাহায্য করেছিল।
তবে এই প্রথমবারের মত যৌন অপরাধ দমনে সৌদি আরবে যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা নয়। তিন বছর আগে একটি বিল এনে বলা হয় নারীদের মৌখিক ও শারীরিক হয়রানি অপরাধমূলক। ওই সময় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অপরাধে জেলসহ ১ লাখ ৩৪ হাজার ডলার জরিমানা ও ঘটনাবলী নিয়ন্ত্রণের জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় বলে আরব নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সৌদি সরকার যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছে তারই অংশ হিসেবে নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের খসড়া আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওই ভিশনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে তেলের ওপর থেকে অর্থনীতির নির্ভরশীলতা কমানো, সামাজিক খাতে উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে বৈচিত্র সৃষ্টি করা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি