দৈনিক দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক:
ভারতে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়ে চার বাংলাদেশি যুবককে মারধরের শিকার হতে হল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ শহরে একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়েই তারা হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। এমনকি তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়েই দুর্গা প্রতিমা দেখতে ভারতে যান গৌতম অধিকারী, সুমন দত্ত, সুমিত কুমার ভৌমিক এবং পিলু। তারা সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ওই চার যুবক ভারত-বাংলাদেশের পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা প্রত্যেকেই বনগাঁ শহরেই একটি হোটেলে ওঠেন। তারা হোটেলে খাবার খেতে যান। কিন্তু বেশ কিছু সময় বসে থাকার পরও তাদের খাবার পরিবেশন না করায় মালিকের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ওই হোটেলের মালিক, কর্মচারিরা ওই বাংলাদেশি যুবকদের প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে বলেও অভিযোগ। মারধরে গৌতম অধিকারীর চোখে ও পেটে আঘাত লাগে। আরেকজনের হাতের আঙুল ভেঙ্গে যায়। এই ঘটনার পরই ওই বাংলাদেশি যুবকরা স্থানীয় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে গৌতম অধিকারী নামে এক যুবক জানান, ‘আমরা খেতে বসার সময়ই হোটেলের ভাত, ডাল শেষ হয়ে যায়। এরপর আমরা হোটেলের এক কর্মীকে বলার পর আমাদের বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। এর পর আমরা হোটেলের মালিককে খাবার দেয়ার কথা জানাই কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই এক কর্মী এসে আমাকে মারধর করতে থাকে। আমার চোখে, পেটে আঘাত লাগে’।
তাঁর অভিযোগ, বৈধভাবে ভারতে এসেও এখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই। এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো পূজা দেখতে এসেছিলেন খুলনার বাসিন্দা সুমন দত্ত। তিনিও এ ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত। সুমন দত্ত জানান, ‘ট্যুরিস্ট ভিসায় এবারই প্রথমবার ভারতে পূজা দেখতে এসেছি। আমি একজন এমবিএ’এর শিক্ষার্থী। কিন্তু এখানে এসে আমি হতবাক যে আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই’।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি