নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার ৩৬টি হাওরের ১৬০টি প্যাকেজে ৪৭টি ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু চরম অনিয়ম, দুর্নীতি ও গাফিলতির জন্য অকাল বন্যায় এক ফসলী বোরো ধান উৎপাদনে সমৃদ্ধ জেলার ৯০ ভাগ ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। যাদের বাঁধ নির্মাণের কাজ ৩০ শতাংশের নিচে দেখানো হয়েছে সেই সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০টি প্যাকেজের কাজ দেয়া হয়। এই সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঠিকাদার খন্দকার শাহীন আহমেদের সাতটি প্যাকেজ, সঞ্জিব দাসের পাঁচটি প্যাকেজ, মেসার্স নূর ট্রেডিংয়ের একটি, মেসার্স সোয়েব এন্টারপ্রাইজের দুটি প্যাকেজ, মেসার্স এলএন কন্সট্রান্সনের একটি প্যাকেজে, টেকবি ইন্টান্যাশনাল একটি প্যাকেজ, মো. আতিকুর রহমানের একটি প্যাকেজ, মাহিন কনট্রাকসনের একটি প্যাকেজ।
প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া জামানত দুই কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৭০৬ টাকা ৭৯ পয়সা বাজেয়াপ্ত করতে চিঠি দিয়েছে পাউবো। জানা যায়, চুক্তি মোতাবেক কেন কাজ করা হলো না এর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে সুনামগঞ্জ পাউবোর ৪৭ জন ঠিকাদারকে। এর মধ্যে ৩০ জন গত বুধবার জবাব দিয়েছেন। এই জবাব নিয়ে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বুধবার ঢাকা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সূত্র জানায়, ৪৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গত ৩১ আগস্ট কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ (স্মারক নং আর ১৩/২৭০) পাঠানো হয়। এরপর বুধবার পর্যন্ত ৩০ জন ঠিকাদার জবাব দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, ২০১৫-১৫ ও ১৭ সালে ৪৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৬০টি প্যাকেজে বাঁধ নির্মাণের কাজ পেয়েছে। তারা ৯০ শতাংশ ও এর কম কাজ করেছে তাদের সবাইকেই কেন ১০ শতাংশ ও তারও কম কাজ করা হলো এর কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। যারা কাজ করেননি তাদের জামানতের টাকা পাউবোর আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্রে জমা দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বলা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ