২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১১

ধরা পড়লেন মানুষ খেকো স্বামী-স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্রাসনোদার শহরে ধরা পড়লেন এক মানুষখেকো দম্পতি। প্রায় ৩০ জন মানুষকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ৩৫ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকশেভ এবং তাঁর স্ত্রী নাতালিয়া।  তারা যে জায়গায় বসবাস করেন সে সামরিক ঘাঁটিতে কাঁটা-ছেড়া ও অঙ্গহীন একটি লাশ পাওয়া গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  তল্লাশি করে পাওয়া বেশকিছু খাদ্যদ্রব্য ও মাংসের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।

এ মাসের শুরুর দিকে সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া একটি মোবাইলের ছবিতে শরীরের কাঁটা-ছেড়া অঙ্গের বেশকিছু গ্রাফিক চিত্র পাওয়া যায়। এর আগে রাশিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে মিঃ বাকশেভ মানুষের শরীরের একটি কাটা অঙ্গ মুখে নিয়ে আছেন।

এর পরপরই এই দম্পতির সামরিক একাডেমীর বাড়িতে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। সে মরদেহটিও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছিল। একই জায়গায় নিহত নারীর জিনিসপত্র বহনকারী একটি ব্যাগও পাওয়া যায়। ছবিতে যে লোকটিকে দেখা গেছে সে ব্যক্তিকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে,  পুলিশ মানুষ খেকো দম্পতির বাড়ি তল্লাশি করছে। সেখানে মানুষের শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে, যার অনেকগুলো আবার কাঁচের পাত্রে স্যালাইনে সংরক্ষণ করে রাখা।

তদন্ত সংস্থা বলছে,  তল্লাশির সময় বাড়ির রান্নাঘরে অজানা প্রজাতির কিছু খাদ্যদ্রব্য এবং মাংস পাওয়া গেছে । প্রাপ্ত নমুনা মানুষের নাকি অন্য কোন প্রাণীর তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।

রাশিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,  ঐ বাড়ির ভেতরে ও মোবাইল ফোনে পাওয়া ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এসব হত্যাকাণ্ড প্রায় বিশ বছর আগের। এদের মধ্যে একটি ছবি ১৯৯৯ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর এ তোলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বড় থালায় বিভিন্ন রকমের ফলের সাথে মানুষের একটি রক্তাক্ত কাটা মাথা পরিবেশন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে দম্পতিকে এখন কারাগারে রাখা হয়েছে এবং তারা কারাগারে থাকা অবস্থায় অন্যান্য পরীক্ষা চলবে বলে জানায় পুলিশ। সূত্র: বিবিসি

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭ ৩:২১ অপরাহ্ণ