নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘বার্মিদের দস্যু আচরণ ছিল। সেই দস্যুবৃত্তি আচরণ মিয়ানমার এখনো ছাড়েনি। তারা এই জন্যই মগ নামে পরিচিত। ইতিহাস থেকে জানা যায় বার্মিরা দস্যুবৃত্তির জন্যই ঢাকার বুড়িগঙ্গার নদীর তীর পর্যন্ত এসেছিলো। বার্মিরা সেই দস্যুবৃত্তি এখনো ধরে রেখেছে’।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং শরণার্থীর ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি’তে এক মানববন্ধনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানববন্ধনটি বেলা ১১ টায় শুরু হয়ে ১২ টায় শেষ হয়।
আখতারুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারে বহুজাতিক বাহিনী প্রেরণ করা এখন সময়ের দাবি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যখন সংকট সৃষ্টি হয়েছে তখন বহুজাতিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণ করতে হবে। অপরাধীদের এমনভাবে বিচার করতে হবে, যেনো বিশ্বে আর কেউ মানবতাবিরোধী কাজ করতে সাহস না করে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তিনি রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, এই ধরনের ভয়াবহ নির্যাতন শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়, এটা সভ্যতার বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে। কোনো মানুষের সামান্য মানবতা থাকলে এ কাজ করতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারের গণতন্ত্রহীনতার কারণেই আজ এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের যদি বাংলাদেশ আশ্রয় না দিত তাহলে নাফ নদী হয়তো পানি নয় মানুষের রক্ত থাকত।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান, অধ্যাপক সুপ্রয়া সাহা, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তোফাজ্জল হোসাইন, কারিগরী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক, কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ