২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:২৭

একাদশ সংসদ নির্বাচন, ভোটাধিকার এবং নির্বাচন কমিশন

এ.কে.এম শামছুল হক রেনু

দুনিয়ার যে কোন গণতান্ত্রিক দেশের সংসদ সহ যে কোন আঙ্গিকের নির্বাচন, ভোটাধিকার এবং নির্বাচন কমিশন একসূত্রে গাথা। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটাধিকার গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র ও চাবিকাঠি। তাই গণতন্ত্রের মহান প্রবক্তা আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, জনগণ কর্তৃক জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য নির্বাচিত সরকারই গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক । দুনিয়ার অনেক দেশের জনগণ সংগ্রাম, আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার, স্বৈরতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার অর্জন ও একনায়কের রাহু গ্রাস থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। যার উদাহরণের শেষ নেই। ১৯৭০ সালের নির্বাচনও ছিল স্বাধীনতা অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

পাকিস্তানের একনায়ক আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের কবল থেকেবা প্রতিনিধিত্বমূলক ভোটাধিকার ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে জনগণের ভোটাধিকার অর্জনে রাজপথে কম রক্ত যায়নি। যদিও দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনটি এখনও মৌলিক গণতন্ত্রের আদলেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যখনই এদেশের জনগণ, ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবী করেছে। তখনই নেমে এসেছে রাজনৈতিক দল ও জনগণের ওপর পাকিস্তানের শোষক গোষ্ঠির অত্যাচারের নির্মম তান্ডব, নির্যাতন, কাঁদুনে গ্যাস, বেয়নেট, বুলেট এবং কারাগারের নির্মম প্রকোষ্ঠ। তা সত্ত্বেও এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ মৌলিক গণতন্ত্র থেকে মুক্তি ও উত্তরণের লক্ষ্যে রাজপথে ট্যাংক ও থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের বুলেটের কাছে যেমনি নতি স্বীকার করেনি, তেমনি থমকে দাঁড়ায়নি। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এরই বহিঃ প্রকাশ।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত দেশে যতগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বচ্ছতা ও সষ্ঠুু নির্বাচন নিয়ে রয়েছে অনেক কথা ও উদাহরণ। অতীতে আলোচনা, সমালোচনার পর আগামী ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারীর ৯০ দিনের মধ্যে যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নিয়েই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ নতুন করে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোটাধিকার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। একবার দই ভেবে চুন খেয়ে পোড়া মুখ যেমনি দই দেখলে ভয় পায় এবং আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তেমনি নির্বাচন কমিশন, ভোটাধিকার ও আগামী নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই এ ভাবনাকে খাটো করে দেখছেনা দেশের জনগণ। বর্তমান নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম নূরুল হুদা যেমনিভাবে পর্যায়ক্রমে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে মত বিনিময় সভা করছেন, তেমনিভাবে অতীতে আলোচিত ও সমালোচিত আজিজ কমিশন ও সদ্য বিদায়ী কাজী রকিব কমিশন ও রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, নির্বাচন বিশ্লেষক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ও মত বিনিময় আলোচনা করেছিলেন। তাতে যে ফলাফল হয়েছে, তা চর্বিত চর্বণ ও নতুন করে তুলে না ধরে ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে না গিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আগামী দিনের কর্মপন্থা নিয়ে এগোনুই এখন ভাবনার বিষয়।

এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতি ও সভাপতিত্বে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রথমে সুশীল সমাজ পরে গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং সর্বোপরি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে পর্যায়ক্রমে মত বিনিময় ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিদের সাথেও আলোচনা করবেন বলে জানা যায়। তবে এ পর্যন্ত যে সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে সিইসির কাছে প্রতিনিধিরা জোরালোভাবে মুখ খোলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও এখন পর্যন্ত সিইসি তাদের প্রত্যাশার সুস্পষ্ট জবাব না দিয়ে দায়সারাভাবে এবং অনানুষ্ঠানিক কিছু জবাব দিয়েছেন। যা গণমাধ্যমে ও মিডিয়াতে আংশিক প্রচারিত ও প্রকাশিত হতে দেখা যায়। তম্মধ্যে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সেনাবাহিনীর ওপর অর্পিত ক্ষমতা প্রসঙ্গে সিইসি স্পষ্ট কিছু না বললেও ২২ আগষ্ট গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ করা উপলক্ষে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় সিইসি বলেছেন, যদি দেখি সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া সুষ্টু নির্বাচন সম্ভব নয় তা হলে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে ভেবে দেখা যাবে। যা ২৩ আগষ্টের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মাঠে ময়দানে এবং বিভিন্ন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী করলেও সিইসি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু না বললেও ১৪/০৯/২০১৭ ইং বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে ১৩/০৯/২০১৭ ইং বুধবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম. নূরুল হুদা বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা করে বলেছে। তিনি আরো বলেন, আমি আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রধান প্রধান সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

এ নিয়ে পরের দিন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক দুইজন বলেছেন, এ বক্তব্য বিএনপির হতে পারে না। সহায়ক সরকারের অধীন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, এ ব্যাপারে বিএনপি এখনও অটল। অনেকের মতে সিইসির এ ধরণের আশংকা ও মন্তব্যকে নিছকই সিইসির ব্যক্তিগত মন্তব্য ও অভিব্যক্তি বলে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের একজন বলেছেন, অতীতে অনেক নির্বাচন কমিশন ও সিইসি দেশের বিভিন্ন ধরণের নির্বাচনসহ সংসদ নির্বাচন নিয়ে পানি ঘোলা করে ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমানে অতীতের পুনরাবৃত্তি হোক তা আর কারো কাম্য হতে পারে না। ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়ে বিএনপি অনেক অভিযোগ ও অনুযোগ টেনে এনে একেবারে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সিইসি হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। তাছাড়া বিএনপি বর্তমান সিইসি কে.এম. নূরুল হুদাকে ডাইরেক্ট জনতার মঞ্চের লোক হিসেবেও মন্তব্য করে আসছে। তাই তাকে যথেষ্ট চিন্তা করেই সামনে এগুতে হবে বলে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও বিজ্ঞজনরা মনে করে থাকে।

১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের তদানীন্তন একনায়ক সরকার পাকিস্তানের তল্পী বাহক নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে পল্টনের জনসভায় বলেছিলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আগুন নিয়ে খেলবেন না। অপরদিকে ন্যাপ সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী চট্টগ্রামের লালদিঘির ময়দানের এক সভায় তখন পাকিস্তানের শোষক গোষ্ঠি ও তল্পী বাহক নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, দেশবাসী পিন্ডির এহেন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার ও তল্পী বাহক পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার শত চেষ্টা করেও পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে পারেনি। ৭০ এর সেই নির্বাচনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দুটি সিট ব্যতিত আওয়ামী লীগ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করে । পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পিপিপি বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনসহ মুসলিম লীগ (কাইয়ুম), পিডিপি (নসরুল্লাহ) ও ন্যাপ (ওয়ালী খান) পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটা আসনে জয় লাভ করে থাকে।
সেই সময় পাকিস্তানের একনায়ক সরকার ও পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ব্লূ প্রিন্ট, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও স্বপ্ন, গণতন্ত্রকামী এদেশের জনরোষের কাছে তাসের ঘরের মতো ভেঙে খান খান হয়ে যায়। বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচন দেখেছে। এ নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রদ্বিন্দ্বিতায় এবং বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। সেখানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভূমিকা ও দৃশ্যপট জনগণ নীরবে দেখেছে। এ অবস্থার দৃশ্যপট এ দেশের মানুষ আর অবলোকন করতে চায় না। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে বিএনপির অনুযোগ থাকলেও দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আগামী নির্বাচন চর দখলের মতো ভোটার বিহীন নির্বাচন হয়তো হবে না। যার কারণে জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ ও সমালোচিত হতে হচ্ছে। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার যথেষ্ট দৃঢ়তা নিয়ে সামনে এগোবেন এবং গণতান্ত্রিকভাবে একটি সুষ্টু নির্বাচন ও ভোটাধিকার সুসংহত করে দেশবাসী ও জনগণের নিকট একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সংসদ উপহার দিতে সচেষ্ট হবেন। যা দেশ বিদেশে গ্রহনযোগ্য হবে।

এদেশ কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠি বা দলের নয়। এদেশ জনগণের এবং সাংবিধানিক দৃষ্টিতে দেশের জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণ ও গণতন্ত্রের কথা ভেবে সব কিছুর পর জনগণের অর্পিত ভোটের অধিকার ভোটের পবিত্রতা রক্ষা করা, সার্বভৌম নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বলে দেশের মানুষ মনে করে থাকে। তদুপরি সবকিছুর পর শপথের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব নিয়েছেন। দেশের জনগণ নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কোন পক্ষপাতিত্ব শপথ ভঙ্গের নামান্তর বলেই মনে করে থাকে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ দেশের অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ইসি এবং সিইসিকে বুদ্ধি, পরামর্শ, উপদেশ ও জ্ঞান দান করার মতো যোগ্যতা অনেকেরই নেই। তারপরও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি আগুন নিয়ে খেলবেন না এবং মওলানা ভাসানীর এহেন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো উক্তি টেনে বলা যায়, এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনে চলা উচিত। এদেশ আমার, আপনার সকলের। দেশের জন্য দয়া মায়া কারো চেয়ে ইসি এবং সিইসির কোন অংশে কম না থাকারই কথা। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও ভোটাধিকারের গণতান্ত্রিক প্রতিফলন হোক এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনের শ্লোগান আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব। নির্বাচন কমিশনের এই শ্লোগান, পংক্তি, কথামালা ও প্রচার মাধ্যমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর বাস্তবায়ন দেশের মানুষ সুনিপুণভাবে দেখতে আশাবাদী। অতীতে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় নির্বাচন কমিশনের এই শ্লোগান ও পংক্তিকে সামনে রেখে ভোট কেন্দ্রে জনগণের ভোট নিয়ে যে তামাশা, ভানুমতির খেলা, জালিয়াতি ও রসিকতা হয়েছে তা কারো মন থেকে আজো ধুয়ে মুছে যায়নি। নির্বাচনে ভোটারদের নিয়ে সেই পুরনো ক্যারিশমাটিক অভিনব নাটক আর যাতে নতুন করে গণমাধ্যম, অনলাইন, ফেইসবুক, টকশো ও মিডিয়াতে দৃশ্যমান না হয় এটা স্মরণ করে একাদশ নির্বাচন নিয়ে সামনে চলার পথ হোক সুন্দর, অনাবিল, গণতান্ত্রিক ও পক্ষপাতহীন। নির্বাচন, ভোটাধিকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা হোক সমালোচনামুক্ত ও পক্ষপাত বিহীন।

কথায় নয়, বক্তৃতায় নয়, কাজের মাধ্যমে প্রতিফলিত ও প্রমাণিত হোক “আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব”। গড্ডালিকা মার্কা অস্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের চমক ও আওয়াজ দেশের জনগণ আর দেখতে চায়না। বিনা ভোটের সংসদ সদস্য ও পার্লামেন্টও মানুষ আর দেখতে চায়না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনের কথা, কাজ ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ও সমন্বয়। এর ব্যর্থতা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও অসমন্বয় শুধু নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে না বরং সবকিছু বুমেরাং হয়েও যেতে পারে। গণতন্ত্রের সম্মুখ পথযাত্রা যেন থেমে না যায়।

 

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭ ৪:৩২ অপরাহ্ণ