২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:২৩

উ. কোরীয় নেতাও যৌনদাসী রাখেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সুন্দরী স্কুলছাত্রীদের ধরে এনে গোপন আস্তানায় যৌনদাসী বানিয়ে রাখেন। অভিযোগকারী এক তরুণীর বরাত দিয়ে দি মিরর অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানায়, সেখানে ওই কিশোরীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। হি ইয়ন লিম নামের ওই তরুণী সম্মান এবং প্রাণ নিয়ে বাঁচতে পরিবারসহ দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করছেন।

সংবাদমাধ্যমকে হি আরও জানায়, উত্তর কোরিয়ার নেতার এমন অত্যাচার দেখে ভয়ে দেশ ছেড়েছে তার মতো অনেকেই। সিউলে আশ্রয় নেয়া ২৬ বছরের ওই তরুণীর বাবা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১৫ সালে হি পরিবারসহ দেশ ত্যাগ করে প্রথমে চীনে এবং পরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেন।

হি ইয়ন লিম দাবি করেন, পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজর ফাঁকি দিয়ে কিম বিলাসবহুল অনেক গোপন ঘাঁটি তৈরি করেছেন। সেখানেই কিমের নির্দেশে স্কুলের ছাত্রীদের ধরে এনে যৌনদাসী করে রাখা হয়। কিম সাধারণত নিজের যৌনদাসী হিসেবে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দর ছাত্রীকে ধরে আনার নির্দেশ দেন। এজন্যে কিম মেয়েদের সুন্দর পা দেখে নির্বাচন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, হি ইয়ন লিমের বাবা উই ইয়ন লিম উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। কিমের অনেক বর্বর ঘটনার সাক্ষী তিনি।

হি ইয়নের আরও দাবি, উত্তর কোরিয়ায় থাকতে যে স্কুলে তিনি পড়াশোনা করতেন সেখান থেকেও অনেক মেয়েকে কিম জং’এর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাজের কথা বলে নিয়ে গেলেও তারা আসলে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে খাওয়া আর তার শরীর মালিশ করতো। আর যারা এতে আপত্তি জানাত তাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না।

হি ইয়ন জানান, একবার ১১ জন সংগীতশিল্পীকে উড়োজাহাজ ধ্বংসকারী কামানের মুখে বেঁধে উড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিম জং উন। এবং সেই এই দৃশ্য দেখতে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বাধ্য করা হয়েছিল। নিহত সংগীতশিল্পীদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ংয়ের মিলিটারি একাডেমিতে পর্নো ভিডিও তৈরির অভিযোগ আনা হয়।

এরপর বিমানবিধ্বংসী কামানের মুখ থেকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন মরদেহ গুলো মাটিতে ফেলে তার ওপর দিয়ে ট্যাংক চালানো হয়। মিলিটারি একাডেমিতে নির্মম ওই দৃশ্য দেখতে ১০ হাজার মানুষের ভেতর তিনিও ছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে হি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭ ৩:১৭ অপরাহ্ণ