নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমার থেকে গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে আসা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে আজ শনিবার থেকে নামছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী ত্রাণ বিতরণ করবে এবং রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে দেবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।
জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীসহ নানা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে এবং সহায়তা কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। ডিসি বলেন, দুই হাজার একর জায়গায় রোহিঙ্গাদের জন্য ১৪ হাজার ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে যাতায়াতে নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যাতায়াত সমস্যা সমাধানেও কাজ চলছে।
রোহিঙ্গারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে এরও সমাধান হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। রোহিঙ্গারা যাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যেতে না পারে সেজন্য কক্সবাজারের উখিয়ার ৭১ কিলোমিটার এলাকায় ১২টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানান ডিসি। এসময় উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং-এর ডেপুটি ডাইরেক্টর আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ারুল নাসের প্রমুখ।
সম্প্রতি গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে জায়গা দিয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বৃষ্টির কারণে তারা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
শরণার্থী রোহিঙ্গাদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। শুরু থেকেই এই ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবি উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ