নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর তানোরে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে, প্রক্রিয়াগত ও সময় স্বল্পতার কারণে কর্মসূচির শুরুতেই ডিলারদের বিরুদ্ধে কিছুটা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওএমএস চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বত্ত্বি ও চালের বাজারে কিছুটা প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের মতো রাজশাহীর তানোরে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি শুক্রবার ছাড়া সপ্তায় ছয়দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব চাল বিক্রয় করা হবে। এ জন্য উপজেলার দুটি পৌরসভায় ৩ জন করে মোট ৬ জন ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দফতরে এই সংক্রান্ত একটি পত্র প্রেরণ করে বলা হয়েছে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে হবে। কিšত্ত প্র¯ত্তত্বি নিতে বিলম্ব হওয়ায় ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ওএমএস চাল খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলারদের ডিও দেয়া হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নাজমুল হক।
খাদ্য অফিস জানায়, তানোর পৌর এলকার কালিগঞ্জহাট স্পটে আলফাজ উদ্দিন, গোল্লাপাড়া হাট স্পটে সুনিল কুমার দাস ও তালন্দ হাট নামক স্পটে আলফাজ মন্ডলকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া মুন্ডুমালা পৌর এলাকার মুন্ডুমালা বাজার স্পটে জুবায়ের হোসেন, আইড়্যা স্পটে দেবানন্দ বর্মন ও পাঁচন্দর মোড় স্পটে নূরে আলম সিদ্দিকীকে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব ডিলারকে প্রতিদিন এক মেট্রিকটন (এক হাজার কেজি) চাল উত্তোলন ও খোলা বাজারে বিক্রি করতে হবে। আঠাশ টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে এসব চাল ক্রয় করে সর্বোচ্চ ত্রিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন। এক জন ভোক্তা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে। আর বিষয়টি দেখভালের জন্য প্রত্যেক ডিলারের দোকানে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে ওএমএস চাল বিক্রি নিয়ে এবার এখানো তেমন কোনো অনিয়ম-দূর্নীতির চিত্র চোখে পড়েনি।
এদিকে তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া বাজার স্পটে তানোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিমকে কাগজে কলমে ট্যাগ অফিসার দেখানো হয়েছে, তবে তিনি এই সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান। একই কথা জানান, তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর এলাকায় ওএমএসের চাল বিতরণ স্পটে নিযুক্ত অন্যান্য ট্যাগ অফিসারগণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ দায়িত্বে থাকা খাদ্য কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের চাল উত্তোলনের ডিও দেয়া হয়। খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করেন সংশ্লিষ্ট ডিলাররা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পরে বিক্রি শুরু করেন ডিলারগণ। তবে, চাল উত্তোলনের ডিও দেরীতে পাওয়া গেছে। একারণে শুরুতে ভোক্তাদের কাছে চাহিদা মোতাবেক বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না। খাদ্য পরিদর্শক মাজেদুল ইসলামের তদারকিতে সংশ্লিষ্ট ডিলাররা ভোক্তাদের কাছে বিক্রয় যথাসময়ে শুরু করবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোল্লাপাড়া স্পটের নিযুক্ত ওএমএস ডিলার সুনিল কুমার দাস।
এব্যাপারে তানোর খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি তরিকুজ্জামান বলেছেন, ওএমএস চাল উত্তোলনের ডিও দেরীতে হাতে পাবার কারণে ডিলাররা তাদের বরাদ্দের চাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে উত্তোলন করে দোকানে বা আড়ৎ ঘরে মজুত রেখেছেন। যথাযথ সময়ে তারা এসব চাল বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, চাল বিক্রিতে কোনো ধরণের অনিয়ম-দূর্নীতি সহ্য করা
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ