আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের ডাকে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় জনসভা ও মিছিল হয়েছে। সোমবার সেই জনসভায় লক্ষাধিক লোক জমায়েত হওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। মিছিল ও জনসভায় অংশ নেয়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
পশ্চিম বাংলায় এতো লোকের জমায়েত বহুবছর হয়নি, রাজ্যবাসী কখনও দেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস।
দিন কয়েক আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরে গিয়ে চলমান রোহিঙ্গা নিধনের ব্যাপারে কিছু না বলে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে কলকাতার মানুষজন নোংরা রাজনীতির বদলে মানবিকতা বোঝেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুকৃতি আরও বলেন, ‘ভ্রাতৃত্ব, হোক না তা ইসলামিক ভ্রাতৃত্ব; কিন্তু তা যে শেষ হয়ে যায়নি সমাবেশ তা প্রমাণ করেছে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহণ হলো মানবিকতার স্বার্থে। এই মন ও মানবিকতা বহুমুখী হয়ে ফুলে ও ফলে বিকশিত হতে পারে। প্রয়োজন ন্যায় ও সত্যের পথে তাকে পরিচালিত করা।’
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সরকারের সহিংস নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সপ্তাহখানেক আগে রাশিয়ার চেচনিয়ায় ওই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের অবসান দাবিতে ইন্দোনেশিয়ায় মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মুসলমান। গত বুধবার রাজধানী জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে ওই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
একইদিন হায়দরাবাদেও মাগরিবের নামাজের পর সর্বদলীয় গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল জামাত ইসলাম। চাত্তা বাজারে নিজেদের কার্যালয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সব সংস্থা এবং দলকে ওই বৈঠকে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ