২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩৩

রংপুরে সবজি বাজার চড়া, ক্ষোভ ক্রেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের বাজারে প্রায় সকল প্রকার সবজির দাম বর্তমানে চড়া রয়েছে। তবে হাতের নাগালে রয়েছে মাছের দাম। তারপরেও বাজারে সবজির বাজারে আগুন। সবজির দাম শুনে ক্রেতাদের চোখ ছানাবড়া। রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার, স্টেশন বাজার, মডার্ন, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, সিও বাজার, তামপাট রঘু বাজার, শাপলা মোড়, ধাপসহ জেলার পীরগঞ্জ খালাশপীর, মিঠাপুকুর, শঠিবাড়ী, সদরের পালিচড়া, খোড়াগাছ, শ্যামপুর ও পীরগাছার সবজির বাজারে সবজির কমতি নেই।

দোকানে থরে থরে সাজানো নানা পদের সবজি। কিন্তু গত বন্যায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। ফলে বাড়ছে সবজির দাম। অন্যদিকে সিন্ডিকেটের থাবার কারণেও বাড়ছে সবজির দাম। কারণ কৃষকদের জমি থেকে সবজি উঠনোর পরেই বাজারে ঢুকতেই কয়েক হাত বদল হয়ে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।

সংশ্লিষ্টরা বার বার বাজার মনিটরিং করার কথা বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না ফলে সবজি চড়া দামেই কিনছেন ক্রেতারা। মঙ্গলবার রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার, ধাপ বাজার ও মাহিগঞ্জ বাজারসহ কযেকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির ঈদের আগে ও পরে বন্যার অজুহাতে বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।  বর্তমানে আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০/১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে (প্রকারভেদে) ৬০ টাকা, কার্ডিনাল আলু ১৮ টাকা, শীল আলু ৩০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, করলা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লাল শাক, মুলা শাক, মাড়া শাক, পুই শাকসহ অন্য শাকগুলো ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা আঁটি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিকেজি তেলাপিয়া মাছ ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, কাতলা ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, রুই ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার ৮০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, শিং ৪০০-৫০০ টাকা, মাগুর ৬০০/৭০০ টাকা, টেংরা ৩০০/৪০০ টাকা, চিংড়ি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ইলিশ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম ৩০ টাকা হালি ও গরু-খাসি জবাই হলেও আগের মতোই দাম রয়েছে।

রংপুর সিটি বাজারের সবজি ক্রেতা আশরাফুল আলম নেতা, মনিরুল ইসলাম মিন্টু, হারুনুর রশিদ বাদশাসহ কয়েকজন জানান, বাজারের কোনো দোকানেই কিন্তু সবজির কোনো কমতি নেই। তাহলে দাম কেন এত চড়া হবে। এখন সবজির ভরা মৌসুম। তারা বলেন, ১০ থেকে ১৫ টাকার ওপরে কোনো সবজির দাম হওয়া এখন কাম্য নয়। কিন্তু ৪০ থেকে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। এতে হতাশ হলেও আমাদের কিনতে হচ্ছে।

কারণ সংসারে তো প্রতিদিনই দরকার পড়ে এসব সবজি। না কিনে তো আর আমাদের উপায় নেই। রংপুর সিটি বাজারের সবজি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, বন্যার কারণে সবজির ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে মিঠাপুকরের অভিরাম নুরপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান মন্ডল ও পীরগাছার পারুল দেউতির ফুল মিয়া জানান, প্রতিটি সবজি চড়া দরে কিনেছেন। এজন্য বেশি দরেও বিক্রি করতে হয়।

তবে দোকানভাড়া থেকে শুরু করে সব রকম খরচ রয়েছে ৫ টাকার মতো। আর কেজিতে টাকা লাভ রেখে তারা বিক্রি করছেন বলে জানান।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭ ৪:২৬ অপরাহ্ণ