নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বিতীয় মেয়াদে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৫ নম্বর কর্তনকে বেআইনি ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার এ-সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার। আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
পরে ইউনুছ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদনের পক্ষে শুনানি শেষ করেছি। এরপর আদালত আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন রেখেছেন।’ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মামলায় শুনানি করতে পারেন। হয়তো মঙ্গলবার আদেশের আগে তিনি শুনানি করবেন।’
গত ২৭ আগস্ট রিট দায়েরের পর ইউনুছ আলী বলেছিলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির ৬নং অনুচ্ছেদ অনুসারে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এটি সমতার লঙ্ঘন। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক।’
গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণদের পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
ইউনুছ আলী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০- এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। সুতরাং এ সিদ্ধান্ত শিক্ষানীতির পরিপন্থী। এ কারণে দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়া কেন অবৈধ নয়- এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ