ক্রীড়া প্রতিবেদক :
লিগের শুরু থেকে এ পর্যন্ত একবারের জন্যও শীর্ষস্থান হারায়নি চট্টগ্রাম আবাহনী। কাল ব্রাদার্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেই ধারাটা বাড়িয়ে নিয়েছে তারা ৮ ম্যাচে। এই রাউন্ড শেষে লম্বা একটা বিরতি অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। শীর্ষে থেকে ছুটিতে যাওয়াটা হয়ে থাকছে তাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
কাল মাঠে অবশ্য কমলা জার্সিধারীদের সঙ্গে কাদামাখা ভারী মাঠও তাদের জন্য বড় বাধা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক আগের তুমুল বর্ষণে জায়গায় জায়গায় পানি। খেলোয়াড়দের বল টেনে নিতেই সমস্যা হচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের দলটি প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় মামুনুল ইসলামের ফ্রি কিকে। জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডারের স্পট কিকের জন্য খ্যাতি আছে। কাল তাঁর বাঁকানো শটে মাথা ছুঁইয়ে ব্রাদার্সের দুর্গতি টেনে এনেছেন সিও জুনাপিও। হেডে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই জালে জড়িয়ে দিয়েছেন রক্ষণে নেমে আসা এই ফরোয়ার্ড।
লিগে এটি অষ্টম আত্মঘাতী গোল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে হওয়া এই গোলটিই হয়তো যথেষ্ট হতো চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য। কারণ ম্যাচের বাকি সময়ে প্রতিপক্ষ পরিষ্কার কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। বক্স পর্যন্ত বল গেলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডারদের কড়া মার্কিংয়ে কিছু করার সুযোগ পাননি জুনাপিও, থুয়াম ফ্রাংকরা। ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে সাইফুল বারীর দল বরং ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে তৌহিদুল আলমের গোলে। লিগের প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৫ গোল করা এই স্ট্রাইকার গত দুই ম্যাচে গোল পাননি। কাল মনসুর আমিনের ক্রসে সেই তিনিই করেছেন নিজের ষষ্ঠ গোল। এর আগ পর্যন্ত শেখ জামালের সলোমন কিং সমান ৫ গোল নিয়ে তাঁর সঙ্গে যুগ্মভাবে শীর্ষে ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায়। তৌহিদ এখন এককভাবে সেই আসনে। শেখ জামাল ফরোয়ার্ড সলোমনের এ রাউন্ডেই অবশ্য সুযোগ থাকছে তাঁকে ধরে ফেলার। শেখ জামালের যেমন সুযোগ আছে চট্টগ্রাম আবাহনীর সমান পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে থাকার। লিগে এখন এমনটাই চলছে, আগের ম্যাচে জয় নিয়ে শীর্ষে উঠে যাচ্ছে চট্টগ্রাম আবাহনী, পরের ম্যাচেই তাদের ছুঁয়ে ফেলছে শেখ জামাল, সমালতালে এগোচ্ছে দল দুটি। আগের ৭ ম্যাচে দুই দলেরই একটি করে ড্র। চট্টগ্রাম আবাহনী এগিয়ে আছে অবশ্য গোলব্যবধানে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ