২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ ইং | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৪২

অন্য সময় ‘মামা’, বৃষ্টি হলেই ‘ভাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রচলিত রয়েছে ঢাকার রিকশাওয়ালাদের মামা বলে সম্বোধন না করলে তারা ডাক শোনেন না। কিন্তু বৃষ্টি হলেই ঘটে বিপত্তি। এ সময় নিরূপায় নগরবাসী মামা ডেকেও রিকশাওয়ালাদের সাড়া পান না। তাই অনেকেই মমতার সুরে বৃষ্টির মাঝে রিকশাওয়ালাদের ভাই সম্বোধন করে ডাকতে থাকেন। কিন্তু তাতেও কোনো বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না।

একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। তাই বৃষ্টি এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে এ সময় প্রধান বাহন হিসেবে রিকশাকেই বেছে নিতে হয়। ফলে রিকশার চাহিদা দেখে এর চালকদের আচরণ আমূলে পাল্টে যায়। তাই ইচ্ছে মতো ভাড়াও চেয়ে বসেন তারা।

গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আনুমানিক ৪০ টাকার ভাড়া তারা ৭০-৮০ টাকা চেয়ে বসেন। এতে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা বিড়ম্বনায় পড়েন। বৃষ্টি দেখে এমন ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে তর্কে জড়ালে বা কারণ জিজ্ঞাসা করলে রিকশাওয়ালা আরেকদিক মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। অন্যদিকে তাকিয়ে থেকে সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি যাব না।’

রিকশাওয়ালাদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ অনেক পথচারী। এ বিষয়ে কয়েকজন রিকশাওয়ালার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারি বর্ষণে একরকম চলাচল অযোগ্য ভাঙাচুড়া রাস্তায় রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। এ ছাড়াও সম্পূর্ণ পথ বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। তাই অন্য সময়ের তুলনায় বৃষ্টিতে কষ্ট বেশি হওয়ায় ভাড়া বেশি চাওয়া হয়।

এদিকে বৃষ্টির মাঝে গাড়িভর্তি যাত্রী থাকায় নারী বা স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় কম। তাই অনেকেই বৃষ্টির পানিতে পা ডুবিয়ে ছুটে যান অফিস কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ সময় রাস্তার পাশ থেকে বেরসিক সরকারি-বেসরকারি প্রাইভেট গাড়িগুলো পানি ছিঁটিয়ে দ্রুত ছুটে যায়। নিরুপায় পথযাত্রীরা আধাভেজা হয়ে মাথার ওপর রঙ-বেরঙের ছাতা নিয়ে তবু গন্তব্য হেঁটে যেতে থাকেন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭ ১২:১৪ অপরাহ্ণ