নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিল্পনগরী টঙ্গীর বিসিক এলাকায় টাম্পাকো ফয়লস্ লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ ৫ শ্রমিকের স্বজনেরা এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। গত বছর এই দিনে কারখানাটির গ্যাস লাইন লিংকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুরো কারখানা অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়। আজ রোববার অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল। এতে কারখানার ৫ তলা ভবনসহ অধিকাংশ অবকাঠামো ভেঙ্গে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। আগুনে পুড়ে ও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে নিহত হন ৪২ জন ও আহত হন প্রায় ৭৫ জন। আহতদের মধ্যে অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হলেও লাশের পরিচয় সনাক্ত না হওয়ার অজুহাতে নিহত ৫ শ্রমিকের পরিবারগুলোকে ঘোষিত ক্ষতিপূরণের টাকা এখনো দেয়া হয়নি।
গত এক বছর ধরে ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় ৫ লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পড়ে রয়েছে। ঢামেক মর্গে ডিএনএ টেস্টের জন্য নেয়া টাম্পাকোর মোট ৯ লাশের মধ্যে ৪ লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি এই ৪ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিলো। টাম্পাকো কারখানা দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের ওয়ারিশকে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা করে এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার অনুদান দেয়া হয়।
এছাড়াও গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। একই দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল নিখোঁজ শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি