নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়োগের পর প্রক্টর ও ১০টি হলের প্রাধ্যক্ষ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তাদের মধ্যে নীল দলের সাবেক আহবায়ক ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমা শাহীনও রয়েছেন।
০৪ সেপ্টেম্বর সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নতুন উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর রাতেই বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী জানান, উপাচার্য নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ লংঘনের জন্য সোমবার রাতেই উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের নিকট হল প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে অব্যাহতির আবেদন করেছিলাম। মোট ১০ জন হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর এই আবেদন করেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন আরেফিন স্যার।
৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান প্রভোস্ট মিটিং ডেকেছেন বলেও জানান প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী।
অধ্যাপক নাজমা শাহীন ছাড়াও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া প্রাধ্যক্ষদের মধ্যে রয়েছেন- কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মফিজুর রহমান, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, স্যার এ এফ রহমান হলের অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন, শামসুন্নাহার হলের অধ্যাপক সুপ্রিয়া সাহা ও বেগম সুফিয়া কামাল হলের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। তবে বাকিদের নাম জানা যায়নি।
০৬ সেপ্টেম্বর বুধবার উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কোনো পদত্যাগপত্র পাইনি। সেজন্য কারা কাকে পদত্যাগপত্র দিয়েছে-এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
এদিকে ০৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিয়োগকে ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিযোগ তুলে বিবৃতি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ৩১ জন সিনেট সদস্য।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ