নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্ক্রিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, পোস্তার একশ বছরের ইতিহাসে চামড়ার বাজার এতোটা খারাপ কখনও যায়নি। আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা দুই/তিনদিন পর্যন্ত পোস্তায় চামড়া নিয়ে আসতেন। রাস্তাঘাটে ভারি যানবাহনের লাইন লেগে থাকত। অথচ গতকাল ঈদের দিন দিবাগত রাত ৩টার পর কেউ আর চামড়া নিয়ে আসেনি।
রাজধানীর পোস্তা কাঁচা চামড়ার অন্যতম বড় বাজার। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে ওঠে এ বাজার। তবে এবারের অবস্থা ভিন্ন। পোস্তা বাজার ঘুরে ঐতিহ্যবাহী এ কাঁচা চামড়ার বাজারের ব্যবসায়ীদের চিরায়ত সেই ব্যস্ততা চোখে পড়ল না। রাস্তা- ঘাট একেবারেই ফাঁকা। চামড়া নিয়ে যাওবা ব্যস্ততা, তা শুধু আড়তের ভেতরেই।
এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগেই পশু ও আকারভেদে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২২ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশ থেকে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। এসব চামড়ার অর্ধেকের বেশি সংগ্রহ করা হয় কোরবানির ঈদের সময়টাতে।
নেপথ্যে কারণ জানতে চাইলে টিপু সুলতান বলেন বলেন, হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়ার ফ্যাক্টরি স্থানান্তর হওয়া, ট্যানারি মালিকরা পোস্তার ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা না দেওয়া আর টাকা না পাওয়ায় তারা পাইকারি ব্যবসায়ীদের টাকা বকেয়া রাখায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ