নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে নাব্য সংকটে শুক্রবার সকাল ৬টায় মাঝপদ্মায় অর্ধশতাধিক গাড়িসহ আটকা পড়ে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুই ফেরি। দুই ঘণ্টা পর সকাল ৮টায় ফেরি দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ দিকে শুক্রবার ভোর থেকেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় এবং ঘাট এলাকা ঘিরে সহস্রাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। নদীতে তীব্র স্রোত ও ছোট ছোট ঢেউয়ের এবং নাব্য সংকটের কারণে নৌ রুটে ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষের শেষ দিনের চাপ যেন বেড়েই চলছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারি মহাব্যবস্থাপক খালিদ নেওয়াজ জানান, যাত্রীদের দ্রুত পারাপারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছিল, পদ্মায় ১০ ফিটের উপরে পানি আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পানি আছে পাঁচ ফিটের সামান্য উপরে। ভুল তথ্যের কারণে ফেরি মাঝপদ্মায় আটকা পড়ছিল। খুব ভোরে ফেরীতে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় এবং গাড়ি ছাড়াও সাধারণ যাত্রীদের ভিড়ে তিল ধরনের ঠাঁই থাকছে না। নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাস এর সাথে যোগ হয়েছে নাব্যসংকট। তাই গাড়ি পারাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। রো রো ফেরিও চালানোর চেষ্টা চলছে। তীব্র স্রোত, নাব্যতা সংকট এবং ঢেউয়ের দিকে লক্ষ রেখে সকল ফেরি মাস্টারদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

