নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার শিকার রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নুরুল আমিন। পরিবারের লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়ার ৪ দিন পর মধুপুর থানা পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। পরে থানা পুলিশ আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করে।
জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার তরুণীর লাশ উত্তোলনের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষে তার বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিক লাশ বুঝে নেবেন। পরে তা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামে রূপার বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় আটক ৫ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
ঢাকা আইডিয়াল ল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে (২৭) শুক্রবার রাতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করে তার রক্তাক্ত মরদেহ মধুপুর জঙ্গলে ফেলে দেয় ওই পাঁচ আসামি। পুলিশ ওই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে। পরবর্তীতে লাশ শনাক্তের পর রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান থানায় মামলা দায়ের করেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের সড়কের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। পরদিন শনিবার টাঙ্গাইল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর শহরের কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। পরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে সেটি তার ছোট বোন জাকিয়া সুলতানা রূপার (২৭) লাশ বলে সনাক্ত করেন। রূপার স্বজনদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও তিন হেলপারকে আটক করে পুলিশ।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ