নিজস্ব প্রতিবেদক:
তামিম ইকবাল সম্ভবত ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার। আর সাকিব আল হাসান? মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে শুনুন, ‘সাকিব তুই জীবন্ত কিংবদন্তি। তুই যখন লড়িস তখন তোর মতো লড়ে সাধ্য কার! সতীর্থ, তোর জন্মই হয়েছে এই ২২ গজের জন্য।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট জয়ের পর বুধবার মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যক্তিগত প্রোফাইলে এভাবেই উঠে আসলো বাংলাদেশের দুই সম্পদের প্রশংসা।
বাংলাদেশে এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন যারা তাদের মধ্যে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজার অভিজ্ঞতা আছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার। সেই ফতুল্লায় ২০০৬ সালে কি সুযোগই না নষ্ট হলো! এবার আর তা হতে দেয়নি মুশফিকুর রহীমের দল। দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০ উইকেট সাকিবের। ব্যাট হাতে ৮৪ ও ৫। তামিম প্রথম ইনিংসে ৭১ রানের পর দ্বিতীয়টিতে ৭৮। দুজনই স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া দলকে ২০ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে লিড এনে দেওয়ার মূল কারিগর।
কিন্তু মাশরাফি তো প্রকৃতিপ্রদত্ত নেতা। শুধু দুই তারকার প্রশংসা করে কি আর থামেন? গোটা দলকেই এই ঐতিহাসিক ও মর্যঅদার জয়ের জন্য জানিয়েছেন অভিনন্দন। স্পিনাররা পেয়েছেন আলাদা গুরুত্ব। ‘তামিম তুই ব্রিলিয়ান্ট। আমার তো মনে হয় তুই বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এক ওপেনার। তাইজুল অসাধারণ বোলিং মেট। মিরাজ তুই রকিং। মুশি কাজের অধিনায়ক খুব। অন্যরাও মাঠে খুব কাজ দেখিয়েছে, সমর্থন দিয়েছে।’ এর সাথে বুঝি সাকিবের কথা টেনেই মাশরাফির উচ্চারণ, ‘কিন্তু একজন মানুষ এই মুহূর্তটির জন্যই সব জবাব জমা করে রেখেছিল।’
এর সাথে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে টেস্ট জয়ে ঈদ উপহার পেয়ে যাওয়া মাশরাফি শেষ করলেন ‘সবাইকে ঈদ মুবারক’ জানিয়ে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ