মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জ লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে ধীরে ধীরে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। সকাল থেকে যানবাহনের চাপ তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো কয়েকদিন ধরে পারের অপেক্ষায় আছে। ভিআইপি গাড়ির চাপে সাধারণ গাড়ি পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে। স্পিডবোটে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায় ঘাটের সব পয়েন্টেই। যাত্রীরা ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ এবং তিন শতাধিক স্পিডবোটে করে পার হচ্ছে। ঘাট এবং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জেলা পুলিশের সাড়ে ছয়’শ সদস্য কাজ করছেন। ঘাটে পারের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক মো. শাহিন বলেন, আমরা গত চারদিন ধরে ঘাটে এসে বসে আছি। আমাদের গাড়ি ছাড়ার কোনো লক্ষণই দেখছি না। পুলিশ মাঝে মাঝে বেশকিছু ট্রাক পার করে দিচ্ছে। ঘাট ও রাস্তায় প্রায় ৪০০ ট্রাক আটকে আছে কয়েকদিন ধরে। আমরা কিছু বললেই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তার মতো অন্য ট্রাকচালকদের একই অভিযোগ। বাস যাত্রী মনির সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৮টায় এসে বাসে আটকে আছি ৩ ঘণ্টা ধরে। শুনলাম ভিআইপিদের চাপে আমাদের বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছে। বউ-বাচ্চা নিয়ে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে সময় পার করছি। ঈদের আনন্দটা উপভোগ্য হতো যদি ঘাটের এই দুর্ভোগটা কম হতো। তার মতো একই ধরনের অভিযোগ করলেন আরো কয়েকজন বাসযাত্রী। স্পিডবোট যাত্রী ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রম্মচারী জানান, পদ্মা পারাপারে আগে স্পিডবোটে দেড়শ টাকা করে নেয়া হতো। এখন দুই’শ টাকা করে নিচ্ছে। কি কারণ তা জানি না। আরো কয়েকজন যাত্রী জানান, স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না চাইলে কর্তৃপক্ষ বাজে ব্যবহার করছে। অতিরিক্ত ভাড়া না দিয়ে পারাপারের কোনো উপায় নেই।
আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সার্কেল এসপি (লৌহজং) কাজী মাকসুদা লিমা বলেন, যাত্রী নিরাপত্তায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের কাছে যদি কেউ অভিযোগ করে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি