নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিরপুর টেস্টে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ওয়ার্নার-স্মিথের প্রতিরোধ ভাঙতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইন। ২ উইকেটে ১৫৮ রান থেকে হঠাৎই অজিদের স্কোরটা ৭ উইকেটে ১৯৫ করে দিয়েছে টাইগার বোলাররা। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যাগারকে (২) ফিরিয়েছেন তাইজুল। এর আগে ফিরিয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম্পকে। সাকিবে পরাস্থ হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ ও ম্যাথু ওয়েড। এই প্রতিবেদ লেখা পর্যন্ত তাদের স্কোর ৭ উইকেটে ১৯৯। এই মুহূর্তে লাঞ্চে গেছে দুই দল। সফরকারীদের জয় পেতে চাই ৬৬ রান। বাংলাদেশের ৩ উইকেট।
সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১৫৮। এরপর স্টিভ স্মিথকেও ফেরান সাকিব (৩৭)। মুশফিকুর রহীমের হাতে ক্যাচে পরিণত হন অজি অধিনায়ক। তাইজুল ইসলামের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম্বও (১৫)। এরপর ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়েছেন সাকিব। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট। এবার হয়ে গেলো আরো চারটি। আগের বিকেলে একটি নিয়েছেন। মিরপুরে টাইগারদের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই নাটকীয় মোড় ম্যাচে। সামনে থেকে যেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব।
তবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সকালেমনে হচ্ছিল এই ম্যাচ বাগে আনা কঠিন। আগের দিনে অপরাজিত ৭৫ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে বুধবার চতুর্থ দিনের সকালের শুরুতেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার। ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেলেন ওয়ার্নার। উপমহাদেশের মাটিতে ব্যর্থতা অন্তত কিছুটা ঘুচলো তার। তবে সেটি বাংলাদেশকে পুড়িয়ে। ১৩৫ বলেই এই উইকেটে ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ওয়ার্নার। ১৬টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। আর স্মিথ ফিরেছেন ৩৭ রান করে।
অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটির শুরুটা আগের বিকেলে। ওয়ার্নার ৭৫ ও স্মিথ ২৫ রানে ছিলেন। সকাল থেকেই তাদের জ্বালায় অস্থির বাংলাদেশের বোলাররা। হতাশা চেপে ধরতে থাকে। কিন্তু সাকিব আছেন না! ওয়ার্নারকে বিদায় করে উৎসবে মাতিয়ে তোলেন মিরপুরকে। ১৩০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটা ভাঙে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে স্পিনে আরো বিপজ্জনক স্মিথকে শিকার করে ফেলেন সাকিবই। যা হচ্ছে তাতে মিরপুরে গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যা ঘটেছিল তার আভাস মিলছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ