২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:১৯

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল আজহার আর মাত্র দু’দিন বাকি। আর তাই নাড়ির টানে বাড়ি আসতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ। চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কর্মব্যস্ত নগরী থেকে কিছু দিনের জন্য হলেও প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে চিরচেনা সেই নিজ বাড়িতে ছুটে আসছেন তারা। তবে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা-ঘাট খানা খন্দে ভরা থাকায় এবার সড়ক পথে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষের। যত কষ্টই হোক না কেন নিজের জন্মস্থান, গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপনে উদগ্রীব মানুষগুলো ছুটে আসছেন নিজ গন্তব্যে। পথে যতই ভোগান্তি ও দুর্ভোগ হোক না কেন পরিবার-স্বজনদের দেখা মিললে নিমিষেই মুছে যায় সকল ব্যথা। মঙ্গলবার লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ নৌ-বন্দর চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে হাজারো মানুষের ভিড়। ঈদ আসলেই আনন্দযাত্রা ভোগান্তি দিয়েই শুরু হয় মানুষের। যারা বাসে চড়েন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের আটকে থাকতে হয় মহাসড়কে। তাই লঞ্চে আসতে অনেক বেগ পোহাতে হলেও নদীপথ আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চে ঝুঁকি নিয়েই আসছে মানুষ।

লঞ্চ ঘাটে দেখা যায়, প্রশাসন যাত্রীদের হয়রানি না করার জন্য বার-বার মাইকিং করা সত্তেও লঞ্চ থেকে যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিএনজি, অটো রিকশার চালকরা যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাটানি করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। যাত্রীদের অভিযোগ তাদের জিন্মি করে ভাড়া নিচ্ছে ১০ গুণ বেশি। এ ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।

মূলত নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষের আসল যুদ্ধ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের একটি বড় অংশ বৃহস্পতিবার থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করবে।

এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাঁদপুর প্রশাসন বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। লঞ্চঘাটে সার্কিট ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। গেটের সামনেই রয়েছে নৌপুলিশের মোবাইল টিম। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে স্কাউট সদস্যরা। পথের এসব শত বিড়ম্বনা আর ঝক্কি ঝামেলা মেনে নিয়েই স্বজনদের সান্নিধ্যে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেছেন, লঞ্চ স্টাফদের কেবিন যাত্রীদের জন্য ভাড়া দেয়া যাবে না। যে সকল যাত্রী লঞ্চের কেবিন ভাড়া নেবে তাদের নাম পরিচয় মোবাইল নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। লঞ্চঘাটে যাত্রীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য পুলিশকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ৩০, ২০১৭ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ