ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড় মলংচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নাজমা বেগম প্রায় ৫ বছর যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেই বেতন-ভাতা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে স্কুলে রবিরার গেলে ওই শিক্ষিকার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি সহকর্মি শিক্ষকরা। কোন রকম প্রত্যায়ন পত্র বা মাসিক রিপোর্টও জমা দেয়নি তাদের কাছে। হাজিরা খাতায় লেখা আছে বোরহানউদ্দিনে ডেপুটেসনে। খোঁজ নিয়ে বোরহানউদ্দিন এ ধরণের কোন শিক্ষিকার হদিস পাওয়া যায়নি।
বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ওই শিক্ষিকা স্বামীসহ ভোলা সদরে পিটিআই সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করছেন। মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে শিক্ষিকা নাজমার কাছে তার অবস্থান জানতে চাইলে দৌলতখান আছেন বলে জানান। সেখানে কেনো আছেন জানতে চাইলে ওই শিক্ষিকা বলেন, ২০১২ সালের আগস্ট থেকে দৌলতখানে ডেপুটেসনে আছি। ৩ বছর আগে উপজেলার বাহিরে ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হলেও আপনি কি ভাবে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা আপনার জানার দরকার কি? অফিস ম্যানেজ করেই আমাদের চলতে হয়। প্রতি মাসে কর্মস্থলে প্রতায়ন পত্র জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, কেউ চায়নি তাই জমাও দেইনি, ব্যাপারটি জানা নেই।
২০১৭ সালে প্রাইমারি সেক্টরে সকল রকম ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও আপনি কি ভাবে বিল বেতন উত্তোলন করছেন জানতে চাইলে এসময় তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে তার স্বামী পরিচয়ে কামালউদ্দিন বলেন, আপনি সাংবাদিক হোন আর যেই হোন, আপনাকে এসব বলতে আমি বাধ্য নই। আরো দু’চারটি কটু কথা বলে রাগ করে ফোন কেটে দেন তিনি।
দুই বছর দায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা ইন্দজিৎ দেবনাথ বলেন, ডেপুটেসন প্রথা বাতিল হলেও ওই শিক্ষিকা ফেরত আসেনি। দৌলতখানে ওই শিক্ষিকা দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সকল রকম ডেপুটেসন অর্ডার বন্ধ আছে। এখানে আগে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার শিক্ষক ও সচেতন মহলের প্রশ্ন ডেপুটেসনের সকল অর্ডার বাতিল হওয়ার পরেও নিয়ম না মেনে ডেপুটেসনের নামে একজন শিক্ষিকা কিভাবে ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা ভোগ করছেন?
দৈনিক দেশজনতা /এন আর