নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, তুমি শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। তুমি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার কর না, এ দেশে থাকার কোনো অধিকার তোমার নাই।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার লেখা কি না, তা নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, উনি (প্রধান বিচারপতি) মাত্র ২৫ দিন সময়ের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠা লিখেছেন, এটা অসম্ভব, এটা হতে পারে না। এটা মোটেও তার লেখা রায় নয়। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা পরিষদ নামের একটি সংগঠনের শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যডভোকেট বলোরাম পোদ্দার, অধ্যাপক ফজলুল হক, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক আরও বলেন, রায়ে অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ তার লেখা আগের কোনো রায়ে নাই। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, এই রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছে, সম্ভবত পাকিস্তানি কোনো আইএসআই লিখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না এমন অনেক কথা তিনি পর্যবেক্ষণে বলেছেন। রাজনীতি করা প্রধান বিচারপতির কাজ না। যে প্রধান বিচারপতি রাজনীতি করে, সেটা তার অযোগ্যতা। এসব করে তিনি অনেকভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার আর এই পদে থাকার কোনো অধিকার নাই। তাকে অবশ্যই এই পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসা¤প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী- এমনটা প্রমাণ করতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ও প্রধান বিচারপতি পদে এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর এই প্রধান বিচারপতি এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ এক বিচারককে বাঁচানোর জন্য তিনি দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুর্নীকে যে প্রশ্রয় দেয়, সেও সমান অপরাধী। দুদকের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনিও সেই অপরাধ করেছেন। বিএনপি এখন প্রধান বিচারপতির ‘ঘাড়ে বসে’ রাজনীতি করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিতে সংবিধানে আনা ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগ চ‚ড়ান্ত রায় দেয়, ১ অগাস্ট এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ