চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরে পশুর হাটগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে ভারতের গরু। এতে দেশীয় খামারিরা আতঙ্কে রয়েছেন। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ পূর্ব হাটিলা ইউনিয়নের হাটিলা গ্রামের দুলাল মির্জা জানান, এক দশক ধরে তিনি বাড়ির খামারে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। এ বছর ৪০টি গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন। প্রতিটি গরুর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। তিনি জানান, মাসখানেক আগে প্রতিটি গরুর বাজার দাম এক লাখ টাকার উপরে ছিল। কিন্তু ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দাম যেন ততই নিচের দিকে নামছে। এজন্য বাজারে ভারতীয় গরু আসাকে দায়ি করেন। অন্যান্য বাবসায়ীরা জানান, চাঁদপুরের প্রায় ১৫শ’ খামারি লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। ভারতীয় গরুর দাম কম হওয়ায় দেশি গরু বিক্রি কম হচ্ছে। লোকসান দিয়ে খামার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।
এদিকে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজার, বাকিলা বাজার, সফরমালী বাজার, বাগাদী চৌরাস্তা মুন্সির হাট, কচুয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ভারতীয় গরুতে সয়লাব। বাজারের প্রায় ৯০ ভাগ গরুই ভারত থেকে আমদানি করা। অপরদিকে, ক্রেতারা বলছেন, পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে বড় কথা। দেশি না বিদেশি সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বরুণ কুমার দত্ত জানান, এ বছর চাঁদপুরে দেড় হাজার খামারে ২৫ হাজার ৫৯০টি গরু, ৬ হাজার ৯৯০টি ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও প্রায় ৭০ হাজার গরু পশুর হাটে বিক্রির জন্যে প্রস্তুত রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

