২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১৪

জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন বি. চৌধুরী ও ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং বিশিষ্ট আইনজীবী গণফোরাম সভাপতি . কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন তারা বৃহস্পতিবার সকালে এক যৌথ বিবৃতিতে আহ্বান জানান বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার লক্ষ্য, চেতনা মূল্যবোধকে অবহেলা করা হলে কিংবা জনগণের অধিকারসমূহ বাস্তবায়িত না হলে বুঝতে হবে জনগণ ক্ষমতার মালিকানা হারাতে বসেছে এরূপ পরিস্থিতিতে সময়ের দাবি হল জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি অহিংস বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলা জনগণ প্রত্যেকেই সাধারণভাবে একা, কিন্তু ঐক্যবদ্ধ হলে জনগণ কখনোই একা নয় বরং একটি মহাশক্তি জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির নিকট পৃথিবীতে অনেককেই মাথানত করতে দেখেছি৫২৯০ এর বিভিন্ন গণআন্দোলনে এবং৭১এর স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণকে রাষ্ট্র সমাজব্যবস্থার অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মুক্তিকামী জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা গণতন্ত্র প্রতিষ্টা করেছে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল এমন একটি রাষ্ট্র সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা প্রকৃত অর্থেই হবে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার মূল চেতনা নিশ্চিত করা; যার প্রতিটি স্তরে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে এবং জনগণ সে ক্ষমতা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োগ করবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধানের আলোকে জনগণের মৌলিক চাহিদা, ন্যায্য অধিকার আশাআকাক্সক্ষাসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। এটাই বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাজনীতির মূল কথা। মহান স্বাধীনতা অর্জনের মধ্যদিয়ে সর্বস্তরের স্বাদীনতা, সার্ববৌমত্ব গণতন্ত্রের যে স্বপ্ন রচিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ সে স্বপ্নের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। যারা স্বপ্নে বিশ্বাসী তাদেরকে আজ কাছাকাছি আসতে হবে বলে দুই নেতা অভিমত ব্যক্ত করেন।
এজন্য তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ছাত্রসমাজ, শিক্ষিত সুধীজন, আইনজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবারবর্গ, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক, সাবেক সরকারিবেসরকারি কর্মকর্তাকর্মচারী অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। যার লক্ষ্য থাকবে সকল রাজনৈতিক দল ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারাই দেশকে ভালবাসেন, যারাই দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী তাদেরকে একটি প্রগতিশীল, পাহাড় সমতলের সব মানুষসহ সকল সম্প্রদায়ের পূর্ণ অধিকারসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :আগস্ট ২৪, ২০১৭ ৫:৫০ অপরাহ্ণ