আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানে চলমান ১৬ বছরের মার্কিন যুদ্ধে আরও একবার ঝুঁকি নিতে সামরিক উচ্চপদস্থদের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে বাধ্য হলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প। যার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আরেক দফা মার্কিন সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে আর কোন বাঁধা থাকলো না। এ সিদ্ধান্তের পরেই মঙ্গলবার কয়েক হাজার সৈন্যকে আফগানিস্তান পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওভালে ঢোকার পর থেকেই ব্যক্তিগতভাবে ও প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের জায়গা থেকে আফগানিস্তান হতে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ ভাষণে স্পষ্টই বোঝায় যাচ্ছে ট্রাম্প তার মত পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু তার এ মত পরিবর্তনের ফলে আফগানিস্তানে নতুন করে সৈন্য প্রেরণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সে বিষয়ে এড়িয়ে যান তিনি। তবে তার ভাষণে সেদিকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে যেসব নারী পুরুষ জাতির জন্য লড়ে যাচ্ছে, জিতে আসার জন্য একটা পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি রাখে তারা। তাদের যা দরকার তা পাওয়ার দাবী রাখে তারা। সেইসাথে যুদ্ধ করতে ও জিতে আসতে সে বিশ্বাস তারা অর্জন করেছে’
জুন মাসে হোয়াইট হাউস আরও ৪ হাজার সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে পেন্টাগন কর্তৃপক্ষকে বলেছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কৌশল নিয়ে আরও বেশি খোলাসা হতে প্রতিরক্ষা সচিব সে নির্দেশ পালনে দেরি করেছেন বলে জানা যায়।
ট্রাম্পের ভাষণের পর ম্যাটিস এক বিবৃতিতে জানান, প্রেসিডেন্টের কৌশলনীতি অনুসারে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে তিনি নির্দেশ পেয়েছেন। সেইসাথে তিনি ন্যাটো জোটের সাথেও কথা বলেছেন আফগানিস্তানে সৈন্য বৃদ্ধির বিষয়ে।
তিনি ন্যাটো জোটের উদ্দেশ্যে বলেন,’সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করতে আমরা একসাথে আফগান বাহিনীকে সহযোগিতা করব।’
এদিকে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস কংগ্রেসে জানিয়েছেন, ‘অতিরিক্ত ৩,৯০০ জন সৈন্য পাঠানো হবে।‘
ওবামা প্রশাসনের পুরোপুরি বাইরে এসে ট্রাম্প বারবারই দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে নিজের নীতি প্রকাশ করছেন। এখানে বাস্তবতা মেনেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে তার মনোভাবে প্রকাশ পায়। সূত্র: গার্ডিয়ান
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ