শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৩৬তম প্রযোজনা ‘নীলাখ্যান’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাপুড়ে’ গল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনন জামান। নির্দেশনা দিয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান সেলিম আল দীন উৎসবে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালায় প্রদর্শিত হবে ‘নীলাখ্যান’।
নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে— বেদে সর্দার জহরের বিষ জয় সাধনা। মনসা কর্তৃক কাম নিষিদ্ধ বলে তার ভালোবাসার মানুষ বিন্তী আত্মহত্যা করে আড়ালি বিলের শাপলার বনে। এদিকে বেদে বহরে বেড়ে ওঠা সাপে কাটা মান্দাস ভাসা বালিকা চন্দনের চুলের আড়ে বিন্তীর সুরভি পায় জহর। নারী নিষিদ্ধ বলে এ বালিকা বেড়ে উঠছিল বালকের বেশে। কিন্তু এক সময় তার প্রতি প্রেম অনুভব করে জহর। এ নিয়ে বেদে বহরে তৈরি হয় বিচিত্রমুখী সংকট।
‘নীলাখ্যান’-এর অভিনয়শিল্পীরা হলেন জেরিন তাসনীম এশা, কোনাল আলী, চৈতী সাথী, শাহিনুর প্রীতি, আদিবা, সুরেলা, সৈয়দা কানিজ ফাতেমা লিসা, নির্ঝর অধিকারী, তনু ঘোষ, আমিনুল আশরাফ, আসাদুজ্জামান রাফিন, মোহাম্মদ আহাদ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, ইয়াছির আরাফাত, তৌহিদুর রহমান শিশির, রাজিব হোসেন, ইকবাল চৌধুরী, মো. শাহনেওয়াজ ও মীর জাহিদ হাসান। মঞ্চ পরিকল্পনা, সুর, সঙ্গীত ও আবহসঙ্গীত পরিকল্পনায় ইউসুফ হাসান অর্ক, আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, পোশাক পরিকল্পনায় ড. সোমা মোমতাজ, কোরিওগ্রাফি জেরিন তাসনিম এশা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ