নিজস্ব প্রতিবেদক:
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও সূচকের পতন ঘটেছে। ফলে এই সপ্তাহজুড়েই সূচকের পতন হলো। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরু থেকে উত্থান-পতন থাকলেও আস্তে আস্তে সেল প্রেসারে নামতে থাকে সূচক। যদিও শেষ দিকে দুই থেকে তিনবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ব্যহত হয় বাজার। একই অবস্থা বিরাজ করছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। তবে আজ দুই বাজারেই অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এছাড়া লেনদেনের পরিমাণও গতদিনের তুলনায় কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ ডিএসইতে ৬৮৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় ৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ৭৭৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। আজ ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৭৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক দুই পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ২৩ পয়েন্টে।
অন্যদিকে সপ্তাহের শেষ দিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৩১৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৭টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জ্বালানি খাতে। মার্কেট আজকে নেগেটিভ থাকায় আগের দিনের তুলনায় ট্রেড ভলিউম বাড়েনি। ফলশ্রুতিতে খাতগুলোতেও লেনদেন বেশি হয়নি। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জ্বালানি খাতে। তবে গত দিনের তুলনায় এই খাতে ট্রেড কমেছে। লেনদেনের ভিত্তিতে দেখলে আজকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংকিং খাত এবং ফাইন্যান্স খাত। তুলনামূলকভাবে মার্কেটের বাকি খাতগুলোর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উভয় খাতেই।
M/H