নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনের মতো অল্প সময়ের জন্য চাঁদের মাটিতে নামতে চান না চীনা মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিতে নেমে তারা কাটাতে চান অনেকটা সময়। পৃথিবীর নিরিখে বেশ কিছু দিন। কিন্তু চাঁদের মাটিতে নেমে দীর্ঘ দিন কাটানোটা তো খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেখানে তো কোনও মহাকর্ষীয় বল নেই। যাকে বলে একেবারে ‘মাইক্রো-গ্র্যাভিটি’র অবস্থা। ভেসে থাকা। তাই চাঁদের মাটিতে নেমে বেশ কিছু দিন সেখানে থাকার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন চীনারা। তার জন্য বেজিং শহরেই বানানো হয়েছে কেবিন। যেন কৃত্রিম চাঁদ! যে কেবিনের ভেতরের পরিবেশটা একেবারে চাঁদের মতো। যেন চাঁদই নেমে এসেছে বেজিংয়ে বানানো ওই কেবিনে। আগামী বছর ওই কেবিন ‘য়ুগং-১’-এই কাটাবেন ৮ চীনা, চাঁদের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যেমন দুঁদে মহাকাশচারী, তেমনই রয়েছেন সাধারণ নাগরিকও।
‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা আসলে বুঝে নিতে চাইছেন, প্রাণী, উদ্ভিদ আর জীবাণু (মাইক্রো-অরগ্যানিজম) কী ভাবে একই সঙ্গে পাশাপাশি অনেকটা সময় কাটাতে পারেন চাঁদে, নিরাপদে, নির্ঝঞ্ঝাটে। দু’মাস পর আরও চার জন ঢুকবেন ওই কেবিনে। তাদের মধ্যেও থাকবেন দুই মহিলা। তারা বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটাবেন টানা ২০০ দিন। মানে, প্রায় সাত-সাতটা মাস! তার পর প্রথম যে চার জন বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটিয়েছিলেন, তাঁরাই বাকি ১০৫ দিন বা তিন মাসের কিছুটা বেশি সময় আবার কাটিয়ে আসবেন সেখানে।
তারা যে বিষয়গুলি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন, বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম- ‘বায়ো-রিজেনারেটিভ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম’ (বিএলএসএস)। এর আগে, ২০১৪ সালে ১০৫ দিন ধরে প্রায় একই রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়েছিল চীনে। তবে তার পর আরও সর্বাধুনিক হয়েছে বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’। ওই ‘চাঁদ’-এই পৃথিবীর মতো পরিবেশ গড়ে তুলে কৃত্রিম ভাবে বানানো হবে জল ও খাবারদাবার। ওই কেবিনে যাঁরা থাকবেন, তাদের জন্য।
M/H