নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার ২ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক, রাশেদ, মো. ইউসুফ, শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর, আবু বকর, ইয়াহিয়া, শফিকুর রহমান, আব্দুল হাই ও আব্দুল রব। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে এদের গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে।’
একই মামলায় মেহেদী হাসান নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ ও সারোয়ার হোসেন নামে তিন আসামিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- কামাল উদ্দিন, আরিফ হাসান সুমন, মুন্সি ইব্রাহীম. মো শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, এনামুল হক, মিজানুর রহমান, মাওলানা সাব্বির , মাহমুদ আজহার ও আবুল হোসেন। আর একই ঘটনায় দায়ের বিস্ফোরক আইনের মামলায় নয় আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। এই মামলায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সফর ছিল। এই সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের শক্তিশালী বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন ২৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জ আদালতে মুফতি আব্দুল হান্নান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার ২ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। তবে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি