২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৫৪

টাঙ্গাইলে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:  

টাঙ্গাইলে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। শনিবার পর্যন্ত বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর পানি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড পানির প্রবল স্রোতে এখনো জেলার বেশ কয়েকটি বাঁধের লিকেজ মেরামতের কাজ করছে । বন্যা জেলার ৬টি উপজেলার ৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন প্রকার পানিবাহিত এবং চর্ম রোগ দেখা দিচ্ছে। বন্যা পানিতে ডুবে গিয়ে বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নতুন করে আরো ৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ৫২টি ইউনিয়ের ৬৩৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ২৯০ এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪০ জন। জেলার ১২টি ব্যবহৃত আশ্রয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬১০ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া সম্পূর্ণ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৮৪টি এবং ১৭ হাজার ৮১৬ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেনসহ অনেকেই বলেন, বন্যায় আমাগো সব শ্যাষ কইরা দিছে। আমরা এহন খুবই কষ্টে আছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাগো শুকনা খাবার দেন। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার যোকারচর পয়েন্টে বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইলে জেলা প্রসাশক খান মো. নূরুল আমীন জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে শুকনা খাবার এবং চাল দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকার করার জন্যে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :আগস্ট ২০, ২০১৭ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ