নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সস্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবিধানে লেখা আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। কিন্তু কোনো মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে যখন এর ব্যত্যয় ঘটে, তখন সেটি সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘন। প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। আর কোনো বিচারপতি যখন সংবিধান লঙ্ঘন করেন, শপথ ভঙ্গ করেন; তখন তিনি বিচারপতি থাকার যোগ্যতা হারান। প্রধান বিচারপতি এখন বিচারপতি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি বিরোধী শক্তিদের কাছে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার তুলে দিয়েছেন। সেটিকে পুঁজি করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট একটি ঘটনা ঘটিয়ে দেশে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। যেটি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নস্যাৎ করে দিয়েছে, কিন্তু কোনো ঘটনা কোনো ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। ওই ঘটনা এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায় একই সূত্রে গাঁথা; একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিএনপি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণের উপর ভর করে রাজনীতি করছে অভিযোগ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বিপদ হচ্ছে বন্যা আর আপদ হচ্ছে খালেদা জিয়া। তিনি সব সময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে আপদ হিসেবে এসেছেন। এখন লন্ডনে তার পুত্রের সঙ্গে বসে আবার আপদ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ৩২ নম্বরের আত্মঘাতী হামলাকারী শিবির করতো। তার বাবাও জামাতের বড় নেতা। সুতরাং তারা জেএমবি বা নব্য জেএমবি নাম নিয়ে যে বিএনপির সাথে যুক্ত নয় সেটি ভাবার কারণ নেই। তারা সব জামায়াতের নেতাকর্মীদের দ্বারা সৃষ্টি। এদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ