নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলে বন্যায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যমুনাসহ জেলার সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলছেন, কয়েকদিনের মধ্যে পানি নামতে শুরু করবে। মাঠ পর্যায়ে তাদের শতাধিক কৃষি অফিসার কাজ করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু আদনান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭টি উপজেলায় ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। টাঙ্গাইল সদরে বোনা আমন ৩০০ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১৫ হেক্টর, রোপা আমন ৮০০ হেক্টর, আউশ ২০ হেক্টর, সবজি ৫০ হেক্টর এবং আখ ১৫ হেক্টর। কালিহাতী উপজেলায় রোপা আমন বীজতলা ১০ হেক্টর, রোপা আমন ৩২০ এবং সবজি ৩০ হেক্টর।
মির্জাপুর উপজেলায় রোপা আমন ১৫ হেক্টর। গোপালপুর উপজেলায় রোপা আমন ৮০০ হেক্টর। ভূঞাপুর উপজেলায় বোনা আমন ৮৪৫ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ২৭০ হেক্টর, রোপা আমন ১২১০ হেক্টর, আউশ ৯৫০ হেক্টর, সবজি ১১০ হেক্টর। দেলদুয়ার উপজেলায় রোপা আমন বীজতলা ১০ হেক্টর, রোপা আমন ৫০ হেক্টর, আউশ ১৫ হেক্টর। ধনবাড়ী উপজেলায় রোপা আমন ১০০ হেক্টর, সবজি ১৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এসব ফসলি জমিতে ৭ থেকে ১৫দিন পানি থাকে তাহলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এর আগে ফসলি জমি থেকে পানি নামলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়া যেসব উপজেলায় ফসলি জমি তলিয়ে গেছে সেসব উপজেলার কৃষি অফিসারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যায় যে সকল কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাদের সবাইকে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ